শেখ রাজু: প্রকাশ ৭ নভেম্বর ২০২৫
দলের শুদ্ধি অভিযানের মুখে উপহাস—অপরাধীর পুনর্বহালে ক্ষোভে ফুঁসছে মিরপুরবাসী, অভিযোগ–“চাঁদা না দিলে এবার প্রাণ যাবে”
পল্লবী থানা শ্রমিক দলের বহিষ্কৃত নেতা মোঃ বশিরুল আলম বশির’কে পুনরায় পদে বহাল রাখায় ক্ষোভে ফুঁসছে মিরপুরবাসী। দলীয় সিদ্ধান্তে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের খবরে এলাকাবাসীর মধ্যে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক ও ক্ষোভ।
স্থানীয়রা বলছেন, এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে অপরাধ ও চাঁদাবাজির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আবারও রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় পাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে বশিরুল আলমের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ থাকলেও তার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না হয়ে বরং বহিষ্কার প্রত্যাহার—এ যেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে তামাশা।
মিরপুরের বাসিন্দারা প্রশ্ন তুলেছেন, “দলের শুদ্ধি অভিযানের এই সময়ে বহিষ্কৃত অপরাধীদের ফেরানো হচ্ছে কেন? এতে দলের ভাবমূর্তি যেমন ক্ষুণ্ণ হচ্ছে, তেমনি জননিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়ছে।”
এলাকার এক ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “চাঁদা না দিলে এখন প্রাণই যাবে—এমন ভয় নিয়ে আমরা ব্যবসা করছি। অপরাধীদের রাজনৈতিক শক্তি তাদের অপরাধে আরও সাহস জোগাচ্ছে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের এই সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত, অথচ এতে লাভবান হচ্ছেন কেবলমাত্র কৌশলী একটি গোষ্ঠী, যারা দলের ভেতর থেকে অপরাধীদের পুনর্বাসনের চেষ্টা চালাচ্ছে।
স্থানীয়রা প্রশাসন ও দলীয় শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে দাবি জানিয়েছেন—এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে পল্লবীকে অপরাধমুক্ত ও নিরাপদ রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে।


















