বাংলাদেশ একাত্তর.কম: সুমন/শেখ রাজু আহম্মেদ
পল্লবী থানায় পুলিশ হেফাজতে জনি নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে করা মামলার রায় ৯ সেপ্টেম্বর ঠিক করেছেন আদালত।
জনি হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানীর পল্লবী ছেয়ে গেছে পোস্টারে। মহল্লার অলিগলি সহ মুল সড়ক সংলগ্ন বাসা বাড়ির
দেয়ালে দেয়ালে শোভা পাচ্ছে নিহত জনি’র ছবি সংবলিত পোস্টার। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ৯ তারিখে পল্লবীর
ইরানি ক্যাম্প সংলগ্ন একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ইসতিয়াক হোসেন জনি নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশ। নির্যাতন করে ওই যুবককে হত্যা করা হয়েছে পরিবারের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে পল্লবী থানার তৎকালীন এস আই জাহিদ, এ এস আই কামরুজ্জামান মিন্টু ,এ এস
আই রাশেদুল সহ পুলিশের ২ সোর্সের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারন আইন ২০১৩ ধারায়
মামলাটি হয়। এবং এটি এ আইনে দায়ের করা প্রথম মামলা। মামলার প্রধান আসামি এস আই জাহিদ। চলতি মাসের ৯ সেপ্টেম্বর এ আইনে দায়ের করা প্রথম মামলার রায়
দিবে আদালত । সরেজমিন দেখা যায় পল্লবী এলাকার অলিগলি সহ মুল সড়ক সংলগ্ন বাসা-বাড়ির দেয়ালে শত শত পোস্টার সাঁটোনো হয়েছে। পোস্টারে নিহত জনির ছবি সহ ৫ আসামী’র নাম ও পদবী সহ ছবিও রয়েছে। পোস্টারে শিরোনাম দেয়া হয়েছে ” পুলিশের নির্যাতনে জনি হত্যার বিচার চাই”
নিহত জনির ছোট ভাই ইমতিয়াজ হোসেন রকি বলেন, ঘটনার দিন রাতে আমার ভাই জনি সহ আমাকে আটক করে
পুলিশ। চোখের সামনেই সারা রাত জনিকে অমানুষিক নির্যাতন করেছে পুলিশ। সে সঙ্গে আমাকেও। জনিকে বিনা দোষে হত্যা করা হয়। ৯ তারিখ এ মামালার রায় হবে। ন্যায় বিচারের দাবিতে এলাকাবাসী আজ পুরো পল্লবী এলাকায় পোস্টার লাগিয়েছেন। তারা জনি হত্যার বিচার চান। তিনি বলেন, মামলার প্রধান আসামি জাহিদ ও সোর্স সুমন কারাগারে থাকলেও অপর ৩ আসামির একজন পলাতক ও অন্যজন জামিনে রয়েছেন। বর্তমানে জামিনে থাকা সোর্স রাসেল মিরপুর ১১ নম্বরে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করছেন। পলাতক ও জামিনে থাকা সব আসামিদের উপযুক্ত বিচার চাই। আশা করি আদালত ৯ তারিখে খুনিদের উপযুক্ত শাস্তি হবে।