তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় চৌবাড়িয়া পশুহাট বন্ধের দাবি করেছেন সচেতন মহল। গত সপ্তাহ বন্ধের পর ফের হাট বসানো হয়েছে। শুক্রবার সরেজমিন দেখা গেছে, হাটে আগত প্রায় ৮০ শতাংশ ক্রেতা-বিক্রেতা এসেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর ও কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে। হাটে তিল ধারণের ঠাঁই ছিলনা মানুষ পশু মিলে একাকার ছিলনা স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই এ হাটে। এতে প্রশ্ন উঠেছে তাহলে লকডাউন দিয়ে কি ফায়দা। এক শ্রেণির মহল নিজেদের পকেট ভারী করতে সরকারের নির্দেশিকা উপেক্ষা করে মহামারী করোনা ভাইরাসের মধ্যেও হাট বসাতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে নওগাঁর মান্দা উপজেলার চৌবাড়িয়া পশু হাট এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছিল নওগাঁ জেলা প্রশাসন। তবে করোনার যে পরিস্থিতি তাতে আরো কিছু দিন এই পশু হাট বন্ধ রাখা উচিৎ বলে মনে করছেন হাট সংশ্লিস্ট এলাকার অধিবাসী ও সচেতন মহল। করোনার যে পরিস্থিতি তাতে চৌবাড়িয়া হাট বন্ধ রাখা না হলে যেকোনো সময় ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃস্টি হতে পারে বলে মানুষ সঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল হালিম বলেন, নওগাঁ জেলার পার্শ্ববতী চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী জেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপকহারে বেড়ে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে জেলার নিয়ামতপুর উপজেলায়। এ অবস্থায় সীমান্তবর্তী চৌবাড়িয়া হাটটি জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। ইউএনও আরও বলেন, এই নির্দেশনা চলাকালিন চৌবাড়িয়া হাটের ধান-গরু হাটসহ সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র কাঁচাবাজার. ওষুধের দোকানসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকানপাট সকাল ৭টা থেকে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেঁচাকেনা করা যাবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরারও পরামর্শ প্রদান করেন তিনি।