প্রতিবেদক: রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
শিক্ষাব্যবস্থাকে বইনির্ভর প্রচলিত পাঠক্রমের বাইরে এনে খেলাধুলা, সংস্কৃতিচর্চা ও মানসিক সুস্থতার দিকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে ‘হ্যাপিনেসভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম’ চালুর উদ্যোগ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক এবং ঢাকা–১৬ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আমিনুল হক।
রাজধানীর পল্লবীর আদর্শ শিক্ষা নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং প্রতিষ্ঠানের নতুন একাডেমিক ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এই প্রতিশ্রুতি দেন। শুধু বই পড়ে মানুষ নয়—খেলাধুলা ও সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে সুখী মানুষ গড়তে চাই”
অনুষ্ঠানে আমিনুল হক বলেন,
“আমাদের শিশুরা শুধু বই মুখস্থ করে বড় হবে—এটা আমরা চাই না। খেলাধুলা, শিল্প–সংস্কৃতি ও আনন্দভিত্তিক পাঠের মাধ্যমে নতুন ধারার শিক্ষা সামনে আনতে চাই। তাদের স্কুল জীবন হবে আনন্দময়—এটাই আমাদের লক্ষ্য। শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে আধুনিক অবকাঠামো, খেলাধুলার মাঠ, লাইব্রেরি এবং সংস্কৃতিচর্চার জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ–সুবিধা নিশ্চিত করার অঙ্গীকারও করেন তিনি। শিক্ষক–শিক্ষার্থী–অভিভাবক ত্রিমুখী সম্পর্ককে “আন্তরিকতা ও ভ্রাতৃত্ববোধের বন্ধনে” শক্তিশালী করার ওপরও তিনি জোর দেন।
শিক্ষকতার পেশায় আগ্রহ কমে যাওয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন,
“অনেকে অন্য চাকরি না পেয়ে বাধ্য হয়ে শিক্ষকতায় আসে—আমরা এই বাস্তবতা বদলাতে চাই। শিক্ষকতা হবে সবচেয়ে সম্মানজনক ও আকর্ষণীয় পেশা।”
তিনি জানান, এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একটি নতুন কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছেন, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।
কৃষক কার্ড ও ফ্যামিলি কার্ড: পরিবর্তনের বাংলাদেশ’ গড়ার প্রতিশ্রুতি
কৃষি খাতে আধুনিক সেবা নিশ্চিত করতে ‘কৃষক কার্ড’ চালুর পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন তিনি।
তার ভাষায়।
আগামী বাংলাদেশে কৃষকদের হাতে হাতে কৃষক কার্ড পৌঁছে দেব। এই কার্ড দিয়ে তারা বীজ, উৎপাদন সহায়তা ও ন্যায্য মূল্য পাওয়ার নিশ্চয়তা পাবেন।” এছাড়া প্রতিটি পরিবারের জন্য ‘ফ্যামিলি কার্ড’ চালুর উদ্যোগের কথাও ঘোষণা করেন তিনি। এই কার্ডের মাধ্যমে প্রতি মাসে চাল–ডালসহ মৌলিক খাদ্যপণ্য বিনা মূল্যে পাওয়ার সুযোগ থাকবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবার তথ্য, সুবিধা ও জরুরি সহায়তাও যুক্ত করা হবে। ১৭ বছরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সর্বত্র দলীয়করণ—আমরা তা বন্ধ করবো”
স্বৈরাচারী শাসনের সমালোচনা করে আমিনুল হক অভিযোগ করেন,
“গত ১৭ বছরে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দলীয়করণ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষক–কর্মকর্তাদের ওপর রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণই ছিল প্রধান লক্ষ্য।”
তিনি অঙ্গীকার করে বলেন—আসন্ন নির্বাচনে ধানের শীষ বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে পরিচালিত হবে। কোনো রাজনৈতিক প্রভাব থাকতে দেওয়া হবে না।”


















