স্কুল প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের স্লোগান “চোর চোর, প্রশাসন লাশ চোর”; পাইলটের মৃত্যু নিয়ে দ্বিমত—চীন যে বিমান বহু আগেই বাতিল করেছে, সেটিই বাংলাদেশে দ্বিতীয় যুদ্ধবিমান!
নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা | সোমবার, ২৩ জুলাই ২০২৫
রাজধানীর উত্তরা সংলগ্ন মাইলস্টোন স্কুলে দুর্ঘটনাগ্রস্ত যুদ্ধবিমানের ঘটনায় কেবল শিশুর প্রাণহানিই নয়, আরও বড় এক প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে—এই বিমানটি আদৌ আকাশে থাকার যোগ্য ছিল কি না?
চীন ফেলে দিয়েছে, বাংলাদেশ আকাশে উড়িয়েছে!
দুর্ঘটনাটি ঘটে একটি “J-7BGi” সিরিজের যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে স্কুলের ওপর পড়ে। অথচ এই সিরিজের বিমান বহু আগেই চীনের নিজস্ব বিমানবাহিনী বাতিল করে দেয়।
বিশ্বের অধিকাংশ দেশের মতে, এটি এখন “মিউজিয়ামে রাখার উপযোগী” এবং “আধুনিক যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।”
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন,
“চীন যেটি ঝুঁকি বিবেচনায় বাতিল করেছে, বাংলাদেশ কীভাবে সেটিকে দ্বিতীয় প্রধান যুদ্ধবিমান বানাল?”
এই যুদ্ধবিমানটি মূলত ১৯৬০-এর দশকে সোভিয়েত MiG-21-এর নকল সংস্করণ—একটি সময়োপযোগী যুদ্ধবিমানের তুলনায় অনেক পিছিয়ে থাকা প্রযুক্তি।
শুধু পাইলট নয়, শিশুদের মৃত্যুর জন্যও দায়ী ‘বাতিল প্রযুক্তি’?
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পুরোনো বিমানের নেভিগেশন ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এতটাই অপ্রতুল যে, এটি দিয়ে বিপর্যয় নামানো ছাড়া কিছু নয়।
পাইলট সাহসিকতা দেখিয়ে নিজেকে বিসর্জন দিলেও—প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতা এবং বিমানবাহিনীর রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশাসনের নীরবতা মৃত্যুর দায় এড়াতে পারে না।
পাইলটের মৃত্যু নাকি ভুল সিদ্ধান্ত?
দুর্ঘটনার পর সামাজিক মাধ্যমে দাবি ওঠে, পাইলট ইচ্ছা করেই প্যারাসুট ব্যবহার না করে আত্মোৎসর্গ করেছেন।
তবে পরবর্তীতে জানা যায়, তিনি প্যারাসুটে অবতরণ করেন বটে, তবে পাশের একটি ভবনে আটকে গিয়ে আহত হন এবং পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এখানেও উঠে আসে প্রশ্ন—এই বিমানে প্যারাসুট ব্যবহারের যথাযথ সময় বা কার্যকর সিস্টেম কি আদৌ ছিল?
সাধারণ মানুষ বলছে কী
যুদ্ধবিমান কিনতে আমরা কোটি কোটি টাকা ব্যয় করি, অথচ কিনি এমন কিছু যা নিজেদের নিরাপত্তার জন্যও হুমকি—শিশুদের জন্য তো বটেই।
যদি চীন নিরাপত্তার কারণে একটি বিমান বাতিল করে দেয়, তবে বাংলাদেশ সেটিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আকাশে উড়ায় কীভাবে?
এই প্রশ্নের জবাব রাষ্ট্রকে আজ দিতে হবে।