স্টাফ রিপোর্টার | বাংলাদেশ একাত্তর ডটকম | প্রকাশ,৪ মে ২০২৪
রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত মীরপুর বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল খোশনবীশ বর্তমানে দেশের শিক্ষাঙ্গনে এক প্রেরণাদায়ী নাম। নিষ্ঠা, প্রজ্ঞা ও মানবিক নেতৃত্বের মাধ্যমে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন এক নতুন শিক্ষার দৃষ্টান্ত।
২০০৪ সালে সরকারি চাকরিতে যোগদানের পর থেকে মোস্তফা কামাল নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন শিক্ষাক্ষেত্রে। ২০১১ সালে রশিদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির চেহারা বদলে দেন তিনি। শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে তিনি এলাকার শিক্ষায় গতি আনেন।
এরপর ২০১৯ সালের মার্চ মাসে তিনি যোগ দেন মীরপুর বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে। দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁর নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার মান ও পরিসরে ব্যাপক উন্নতি লাভ করে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার, যা তাঁর দক্ষ পরিচালনারই প্রমাণ।
প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক একজন অভিভাবকের মতো। শিক্ষক সমাজ ও অভিভাবকরাও তাঁকে একজন বিশ্বাসযোগ্য নেতা হিসেবে মূল্যায়ন করেন।
রশিদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক বলেন, “মোস্তফা কামাল স্যার ছিলেন সকলের শ্রদ্ধেয়। বিদ্যালয়ের অগ্রগতিতে তাঁর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।”
তবে এই সাফল্য কিছু মহলের ঈর্ষার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি একটি গোষ্ঠী তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল বলেন, “আমি অপপ্রচারে বিশ্বাস করি না। সততা ও কর্মই আমার পরিচয়। উন্নয়নই আমার মূল লক্ষ্য।”
অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল পরপর চারবার ‘শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ’ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর শিক্ষা দর্শন, প্রশাসনিক দক্ষতা ও মানবিক মূল্যবোধ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।