নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ
যে শিক্ষক সত্যের আলো জ্বালিয়ে শিক্ষার্থীদের আলোকিত করে দেশ গড়ার কারিগর তৈরি করবে সেই শিক্ষক যদি লোভে পড়ে মিথ্যা অভিযোগ করে সমাজ সেবকদের বিভ্রান্তি করে তাহলে সেই শিক্ষকের কাছ থেকে এ নতুন প্রজন্মরা কি শিখবে। এমন প্রশ্ন এখন রাজশাহী নগর জুড়ে চলছে।
উল্লেখ্যে গত জুলাই ২৭ তারিখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর সুজিত কুমার সরকার নাটোর (২) আসনের সাংসদ আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম শিমুলকে অপরাধী করে থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেন। সাংসদ শিমুলের বিরুদ্ধে যে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছিল ১২ দিনের ছায়া তদন্তে তার সত্যতা মেলেনি।শুক্রবার সন্ধ্যায় নগর পুলিশের একটি সূত্র রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর সুজিত কুমার সরকার কি কারনে এমন মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন সাংসদ শিমুলের বিরুদ্ধে করেছে তা জানতে চায় নাটোর ২ আসনের জনগন। এমন মিথ্যাবাদি প্রফেসর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মতো স্থানে থাকতে পারবেনা বলেও জোর দাবি সাংসদ শিমুল প্রেমিদের।
নগর পুলিশের তদন্ত টিমের সদস্য বলেন আসলে প্রথম থেকেই এই বিষয়টি নিয়ে আমাদের সন্দেহ ছিল। একজন সাংসদের মানহানি করা ও প্রশাসনকে মিথ্যা অভিযোগ করে হায়রানি কারীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে নগর পুলিশের সূত্রটি বলেন এই বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে উর্ধতন কর্মকর্তারা কোনো ব্যবস্থা নিলে পরবর্তীতে সেটিও জানানো হবে।
নাটোর জেলা আওয়ামিলীগের নেতৃবৃন্দরা মনে করছেন সাংসদ শিমুলের রাজনৈতিক ইমেজ নষ্ট করতে একটি প্রভাশালী মহল তাকে দিয়ে এমন মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন জিডি করিয়েছে। এবং তারা প্রশাসনের সহযোগিতায় দলের ভিতর ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকা বিশ্বাস ঘাতকদের খুঝে বের করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
নাটোর জেলার উপজেলা গুলোতে গত উপনির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী (নৌকা প্রতিক) কে কিভাবে সাংসদ শিমুল নিজের দক্ষতা দিয়ে জয়ী করার লক্ষে কাজ করেছে সেটি সিন্ডিকেট বিহীন দলীয় নেতা কর্মীরা জানেন। নির্বাচনে দশ বিশিষ্ট কমিটি করে নৌকার পক্ষে কাজ করে দিনরাত একাকার করে তুলে নৌকার জয় নিশ্চিত করেছেন। আওয়ামীলীগের এমপি হয়ে যারা বিদ্রোহী প্রাথীর হয়ে নৌকাকে ভেন্নাকাঠের নৌকা বলেছেন। নৌকার বিরোধীতা করে সরাসরি ও গোপনে তারাই সাংসদ শিমুলের পিছনে লেগেছে। বঙ্গবন্ধুর বিস্বাস ঘাতক মুস্তাককে আমরা বাস্তবে দেখিনি তবে এই যুগে মুস্তাকের চেয়েও ভয়ংকর বিস্বাস ঘাতক দেখতে পেলাম সেটা হলো মোঃ আব্দুল কুদ্দুস (এমপি)।
দলের দুর্দিনের কান্ডারি হিসেবে কারা কাজ করেন সেটি নেত্রীর নিকট ফাইল রয়েছে। পুর্বের দুলু বাহীনি সাবেক ক্রীড়া মন্ত্রীর রাজনীতিক জীবন তার ছেলের কর্মকান্ড নাটোর বাসির নিকট স্পষ্ট। শুধু নাটোর (২) আসন নয় পুরো নাটোর জেলাকে দলীয় পাখা দিয়ে আগলিয়ে রাখার কারিগর হিসেবে সাংসদ শিমুলকে দেখছেন সাধারণ মানুষরা। একজন এমপি হয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক পদের যে গুরুত্বপুর্ন মর্যাদা তিনি রাখেন সেটি নাটোর বাসির জন্য আশীর্বাদ হিসেবে দেখছেন সুশীল সমাজের মানুষ। তবে নাটোর শহর নিজেদের নিয়ন্ত্রনে না নিতে পেরে যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাংসদের নামে বদনাম তুলছেন তাদের দলীয় অবস্থান ভালো হবেনা বলে মন্তব্য করেছেন একজন প্রবীন রাজনীতিবিদ- তিনি বলেন ডিজিটাল দেশ গড়ার অংশ হিসেবে যে কয়জন সাংসদ নাটোরের মাটিতে কাজ করছেন তাদের মধ্যে সাংসদ শিমুল অন্যতম।