[বাংলাদেশ একাত্তর.কম] শামীমা আক্তারঃ (২৮ শে- অক্টোবর – ২০১৮ইং তারিখ)
রাজধানী মিরপুর পল্লবী, বাসা-১২, রোড-৭,বি- ব্লক।গত রবিবার, উক্ত ঠিকানার চতুর্থ তলার ডান-পাশের ফ্ল্যাট থেকে লাবনী আক্তার (১৯) নামের এক গৃহবধুর রহস্য জনক মৃত্যু। উক্ত বাড়ীটির মালিক এ.এফ.এম ইমামুল ইসলাম (সচিব)
পরিবার সুত্রেঃ জানা যায় যে, স্বামী মোঃ নুরনবী (টিটু)র সাথে এক বছর তিন মাস আগে বিবাহ হয়।বিয়ের পর থেকে নানা কারনে-অকারনে লাবনীর উপর চলতো অসীমাহীন নির্যাতন। কিন্তু ছেলের অন্যায়ের প্রতিবাদ কখনোই করতোনা শ্বাশুড়ি নুরজাহান বেগম। শ্বাশুড়ি নুরজাহান বেগম হলো ঘরের শক্তিশালী হর্তাকর্তা। শ্বাশুড়ি নুরজাহানের হুকুম ছাড়া খাওয়া দাওয়া ও এক পা’ ফেলার ও সাহস পেতোনা ছেলের বউ লাবণী আক্তার। যার ফলে মাঝে মাঝে লাবণী আক্তার তার পরিবারকে ফোন করে বলেও কান্নাকাটি করে জানাতো। কোন একদিন তাকে তার স্বামী ও শাশুড়ি জানে মেরে ফেলবে এমনো বলতো লাবনী।
লাবনী আক্তার নুরনবী’র ২য় স্ত্রী। নুরনবীর প্রথম স্ত্রী’র সাথেও বনিবনা না হওয়ার কারনে প্রথম স্ত্রী নুছাইবা নামের ৪ বছরের একটি কন্যা সন্তান রেখেও চলে যায়।
মোঃ নুরনবী (টিটু) ও তার মা নুরজাহান বেগম লাবণীকে হত্যা করে আত্নহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চেয়েছিলো। মৃত্যুর ১ঘন্টা আগেও লাবনী আমাদের সাথে ফোনে কথা বলার সময় চিৎকার চেচামেচি শুনা-যায়। এক পর্যায়ে লাবনীর ফোনটি বন্ধ হয়ে যায়। তার পর থেকে লাবনীর ফোন বন্ধ পাই। তার ১ঘন্টা পর লাবনীর স্বামী মোঃ নুরনবী (টিটু) ফোন করে জানায় লাবনী অজ্ঞান হয়ে গেছে। আমরা এসে তখন মিরপুর-এগারো ইসলামীয়া হাসপাতালে নিয়ে যাই। হাসপাতলের ডাক্তার লাবনীকে মৃত ঘোষণা করেন।
এলাকাবাসী বলেন, লাবনী আমাদের চোখের সামনেই মেয়েটির বেড়ে উঠা, অতি সরল বলে পরিবার তাকে দুরে বিবাহ না দিয়ে লাবনীদের বাসার ১০০গজ দুরে বিয়ে দেন। কিন্ত বিয়ের পর থেকে লাবনীকে কখনো একা তার বাবার বাড়ী যেতে দিতনা স্বামী মোঃ নুরনবী (টিটু) ও শ্বাশুড়ি নুরজাহান বেগম।
এবিষয়ে (গোয়েন্দা প্রতিবেদনে) বলা হয়েছে রহস্য জনক মৃত্যু আর তা হলো রুমের দরজা ভাঙ্গার কোন আলামত পাওয়া যায়নি ও বঠি দিয়ে উর্না কাটার ও বিয়ষটি স্পষ্ট নয়। তবে মৃত্যু ব্যক্তির গলার উপরে দুটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। উক্ত বাড়ীর দারোয়ানের সাথে কথা বলে জানা যায়, স্বাশুড়ী নুরজাহান খুব করকসে, মোঃ নুরনবী(টিটু) খুব রগচটা মেজাজি তার আগের বউ তার অত্যাচারে চলে গেছে সেই ঘরে একটি মেয়েও আছে। এ বিষয়ে পল্লবী থানার এস আই ফারুকুজ্জামান মল্লিক, বাংলাদেশ একাত্তর.কম কে বলেন,গভির রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোরাহওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এলাকাবাসীর সহেতায় স্বামী নুরনবী (টিটু)কে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে লাবনীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় প্রতিবাদের ঝড় উঠে। ও দোষীদের শাস্তির দাবী জানান তারা। আর কোন লাবনী যেন এভাবে মৃত্যুর কারণ না হয়। তাই টিটুর ফাসি চেয়ে বিক্ষোভ ও করেন। লাবনীর মা বাদী হয়ে এ বিষয়ে পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পল্লবী থানার পক্ষ থেকে বাংলাদেশ একাত্তর.কম কে জানানো হয়, মামলা হয়েছে আসামী আমাদের হেফাজতে আছে ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।পল্লবী থানায় অভিযোগ পত্রে উলেখ আছে, আসামী ১ নুরনবী (টিটু) আসামী (২) নুরজাহান বেগম। ১ নং আসামী আটক হলেও ২নং আসামী নুরজাহান বেগমকে এখনো আটক করেনি পুলিশ। আসামী নুরজাহান বেগম কে পল্লবী থানার আশে পাশে ঘুরাঘুরি করতেও দেখা যায়। লাবনীর খুনের শুবিচারের আশায় দাড়ে দাড়ে ঘুরছে অসহায় পরিবারটি