বুধবার , ৯ জুলাই ২০২৫ | ৩রা আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আওয়ামীলীগ
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. তথ্য-প্রযুক্তি
  8. ধর্ম
  9. বি এন পি
  10. বিনোদন
  11. বিশেষ সংবাদ
  12. রাজধানী
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. শিক্ষা

ইয়েমেনে ভারতীয় নার্স প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড ১৬ জুলাই কার্যকর

প্রতিবেদক
বাংলাদেশ একাত্তর
জুলাই ৯, ২০২৫ ৮:৩১ অপরাহ্ণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ৯ জুলাই ২০২৫

ইয়েমেনে এক নাগরিককে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়ার দণ্ড কার্যকরের প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। আগামী ১৬ জুলাই তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে বলে নিশ্চিত করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।

ভারতের কেরালা রাজ্যের বাসিন্দা নিমিশা প্রিয়া ২০০৮ সালে কর্মসূত্রে ইয়েমেন যান। প্রথমে একাধিক হাসপাতালে নার্স হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর তিনি নিজের একটি ক্লিনিক চালু করেন। তবে স্থানীয় আইন অনুযায়ী, বিদেশি কেউ ব্যবসা পরিচালনা করতে চাইলে তাকে অবশ্যই কোনো ইয়েমেনি নাগরিককে অংশীদার করতে হয়। এ প্রেক্ষিতে ২০১৪ সালে স্থানীয় বাসিন্দা তালাল আবদো মাহদির সঙ্গে ব্যবসায়িক অংশীদারিত্বে জড়ান তিনি।

পরে উভয়ের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করলে নিমিশা প্রিয়া ইয়েমেনি অংশীদার মাহদির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। মাহদিকে ২০১৬ সালে গ্রেপ্তার করা হলেও পরে তিনি মুক্তি পান। এরপরও মাহদি তাকে নানাভাবে হয়রানি ও হুমকি দিতে থাকেন বলে দাবি করেন প্রিয়ার স্বজনরা।

নিমিশা প্রিয়ার পরিবারের ভাষ্যমতে, মাহদির কাছ থেকে নিজের পাসপোর্ট উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছিলেন প্রিয়া। এসময় মাহদিকে ঘুম পাড়ানোর উদ্দেশ্যে তাকে ইনজেকশনের মাধ্যমে ঘুমের ওষুধ দেন তিনি। তবে ওষুধের অতিরিক্ত মাত্রার কারণে মাহদি মারা যান।

এই ঘটনার পর দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেন নিমিশা, তবে তাকে আটক করা হয়। ২০১৮ সালে ইয়েমেনের আদালত তাকে হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেয়। এরপর বিভিন্ন আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ইয়েমেনের সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল রায় বহাল রাখে।

এরপর দেশটির প্রেসিডেন্ট রাশাদ আল-আলিমি প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন করেন। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে এখন মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের তারিখ চূড়ান্ত হয়েছে।

ভারতের নাগরিক সমাজ, মানবাধিকার কর্মী এবং নিমিশার পরিবার মৃত্যুদণ্ড না কার্যকরের জন্য দীর্ঘদিন ধরে আহ্বান জানিয়ে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে ভারত সরকার কূটনৈতিক পর্যায়েও চেষ্টা চালিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ইয়েমেন সরকার এখনও পর্যন্ত সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কোনো ইঙ্গিত দেয়নি।

এই ঘটনা দক্ষিণ এশীয় প্রবাসী কর্মীদের নিরাপত্তা এবং মধ্যপ্রাচ্যে নারীদের অধিকার ও বিচারপ্রক্রিয়া নিয়েও নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।

সর্বশেষ - আইন ও আদালত