রাজু আহমেদ ২ জানুয়ারি ২০২৫
“আমার দেশ” পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বহুবার আওয়ামী স্বৈরাচারী শাসনের নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সাহসী সাংবাদিকতার প্রতীক হয়ে উঠা এই সম্পাদককে জেল-জুলুম, মারধর, এবং কোর্টের বারান্দায় রক্তাক্ত অবস্থায় দাঁড়াতে হয়েছে। স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার আমলে তার উপর যে নির্যাতন হয়েছে, তা শুধু ব্যক্তিগত নয়, বরং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর একের পর এক আঘাত।
মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে আনা হয় মিথ্যা মামলা। জেলে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়। বারবার আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে তিনি বারান্দায় রক্তাক্ত হন। তার “আমার দেশ” পত্রিকা বন্ধ করে দিয়ে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা চালানো হয়েছে।
একজন সাহসী সাংবাদিক হিসেবে তিনি কখনও আপস করেননি। জনগণের পক্ষে কথা বলার কারণে তাকে বারবার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যে দমননীতি প্রয়োগ করা হয়েছে, তা কেবল ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ নয়; এটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতার উপর সরাসরি আঘাত।
মাহমুদুর রহমানের সাহসিকতা ও প্রতিজ্ঞা তাকে অন্যদের কাছে অনুপ্রেরণা হিসেবে তুলে ধরেছে। তিনি বলেন, “সত্যের পথে থেকে যারা লড়াই করেন, তাদেরকে দমন করা যায় না। গণমাধ্যমের কণ্ঠ কখনও স্তব্ধ হবে না।”
তার এই লড়াই শুধু একজন ব্যক্তির নয়, বরং গোটা জাতির বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য। স্বৈরাচারের দাবানলে পুড়ে যাওয়ার পরেও তিনি জনগণের পক্ষে দাঁড়িয়ে থেকেছেন, যা তাকে ইতিহাসে এক সাহসী চরিত্র হিসেবে স্থান দিয়েছে।
তবে, মাহমুদুর রহমানের মতো সাংবাদিকদের উপর এই নির্যাতন কি কখনও থামবে? গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার এই প্রচেষ্টা কি আমাদের গণতন্ত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করে না? এসব প্রশ্নের উত্তর পেতে দেশের জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্রয়োজন।