মঙ্গলবার , ৮ এপ্রিল ২০২৫ | ২৩শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আওয়ামীলীগ
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. তথ্য-প্রযুক্তি
  8. ধর্ম
  9. বি এন পি
  10. বিনোদন
  11. বিশেষ সংবাদ
  12. রাজধানী
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. শিক্ষা

মিরপুরে ২০ কোটির বিলাসবহুল বাড়ি বিক্রি: ক্রেতার পরিচয় অজানা, কর ফাঁকি ও কালো টাকার আশঙ্কা, নড়েচড়ে বসতে হবে দুদক-পুলিশকে!

প্রতিবেদক
বাংলাদেশ একাত্তর
এপ্রিল ৮, ২০২৫ ২:৫৩ অপরাহ্ণ

রাজু আহমেদ|প্রকাশ, ৮ এপ্রিল ২০২৫

রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর, ব্লক-এ, রোড-৪- মুল সড়কে ১নং বাড়ী এর গা শিউরে ওঠা মূল্যে এক বিলাসবহুল আবাসিক ভবন বিক্রির চূড়ান্ত পর্যায়ে। সূত্র বলছে, প্রায় ২০ কোটি টাকায় সম্পন্ন হতে যাচ্ছে এই লেনদেন। তবে আশ্চর্যের বিষয়, কে কিনছেন এই বাড়িটি, তা জানেন না বলে দাবি করছেন বাড়ির মালিক তানসের আলী! অথচ একজন ব্যাংক কর্মকর্তার মাধ্যমে এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্ব জাহিদের তত্ত্বাবধানে চলছে বিক্রির প্রক্রিয়া।

এই ভবনটিকে দীর্ঘদিন ধরে বানিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, যদিও এটি মূলত আবাসিক প্লট হিসেবে নথিভুক্ত। বর্তমানে এখানে ‘আহমেদ ঔষধালয়’, জুস বার এবং একাধিক বিলাসবহুল রেস্টুরেন্ট পরিচালিত হচ্ছে—যা স্পষ্টতই আবাসিক আইন লঙ্ঘন করে চলছে। এইসব কার্যক্রম কীভাবে বছরের পর বছর ধরে নির্বিঘ্নে চলছে, সেই প্রশ্নে উঠছে প্রশাসনের নিরব ভূমিকা নিয়ে।

এদিকে বাড়ির প্রকৃত ক্রেতা কে—তা নিয়ে চলছে ধোঁয়াশা। মালিক তানসের আলী বলেন, “আমি জানিনা বাড়ীটি কে কিনতেছে, জাহিদের মাধ্যমেই বিক্রি হচ্ছে।” আবার এও বলেন, “ক্রেতার টাকা সাদা না কালো, সেটা আমার দেখার বিষয় না।” প্রশ্ন উঠছে, ২০ কোটি টাকার এই লেনদেনের মাধ্যমে কোনো কর ফাঁকি হচ্ছে কিনা কিংবা দেশে প্রচলিত আইনের চোখে ধুলো দিয়ে কালো টাকা বৈধ করার চক্রান্ত চলছে কিনা।

বাড়ীটির অবস্থান; মিরপুর ১০ (অরিজিনাল) চাররাস্তা মোড়, মেরিস্টোপস ফার্মার পাশের ভবন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এত বড় আর্থিক লেনদেনে যখন জমির প্রকৃত মূল্য দলিলে কম দেখানো হয়, তখন সরকার বিপুল রাজস্ব হারায়। আবার যারা এই অপ্রত্যাশিত মূল্যে জমি কিনছে, তাদের আয়ের উৎস সন্দেহজনক না হয়ে পারে না। কারণ বছরে কোটির ওপর আয় না হলে এই পরিমাণ টাকার বৈধ বিনিয়োগ প্রায় অসম্ভব।

দেশে কর ফাঁকি রোধে বর্তমানে কঠোর ব্যবস্থা থাকলেও, বাস্তবতা বলছে—কাগজে-কলমে কঠোরতা থাকলেও মাঠে তার প্রতিফলন নেই। ফলে প্রশ্ন উঠছে, প্রশাসন, হাউজিং অথরিটি, এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো কাদের নির্দেশে নীরব?

অপরদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উচিত, এই ধরনের কোটি টাকার সম্পত্তি কেনাবেচার পেছনে কারা রয়েছেন, তাদের সম্পদের উৎস খতিয়ে দেখা। পাশাপাশি, হাউজিং কর্তৃপক্ষেরও আবাসিক এলাকায় বানিজ্যিক কার্যক্রম চালানোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

এই বাড়ি বিক্রির ঘটনায় প্রশাসনের দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন এখনই—না হলে দুর্নীতি, কর ফাঁকি ও কালো টাকার দৌরাত্ম্যে ভবিষ্যতে আইনের শাসন মুখ থুবড়ে পড়বে।

সর্বশেষ - আইন ও আদালত

আপনার জন্য নির্বাচিত

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সব আসামী খালাস: হাইকোর্ট

শ্রমিকলীগ নেতার আবাসিক হোটেলে নারীসহ ৪ জন আটক

ভোরের সড়কে জ্যাম, সমাধানে ট্রাফিক শিক্ষার্থীদের কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর প্রস্তাব

আ. লীগ নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরের দানকৃত কোরআন শরিফ বিক্রি: মাদ্রাসা পরিচালক সালাউদ্দীনের প্রতারণা ফাঁস

পল্লবীর লাল মাঠে মেলা বন্ধ, এলাকা বাসীর স্বস্তি

অসুস্থ স্ত্রীর অভিযোগ: নায়িকা, গায়িকা, কনসার্ট নিয়ে ব্যস্ত আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক

রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেছে: বিএনপি

৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণ: জনরোষে উত্তাল পল্লবী, ধর্ষকের প্রাণ বাঁচাতে সেনা হস্তক্ষেপ

অপরাধীদের প্রতি কোন ক্রমেই নমনীয় হবে না পুলিশ: অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার

পল্লবীতে যুবদলের শক্তিশালী বিক্ষোভ: ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের ডাক