রাজু আহমেদ;
রাজধানীর মিরপুর ইস্টার্ন হাউজিং (দ্বিতীয় পর্ব) এলাকায় নকশা বহির্ভূত কয়েকটি ভবনে রাজউক উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে।
ইস্টার্ন হাউজিং (দ্বিতীয় পর্ব এইচ-ব্লক, রোড-নং ৮, বাসা ২৬। সোমবার ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ইং দুপুর থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যার দিকে অভিযান শেষ হয়। একই ব্লকে আরও একাধিক অবৈধ ভবনে অভিযান চালায় কর্মকর্তাগন।
অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ লিটন সরকার বলেন, মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে পাঁচটি ভবনের মধ্যে দুইটি ভবনের মালিক কে সরজমিনে পাওয়ায় একজনকে ২ লাখ অন্য আরেকজনকে ১ লাখ, সর্বমোট তিন লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। তিনি বলেন, নকশা বহির্ভূত যে অংশগুলো ছিলো সেগুলো সাধ্যমত অপসারণ করার চেস্টা করেন, বাকিগুলো আগামী ১ মাসের মধ্যে ভবন মালিকরা অপসারণ করবে বলে মুচলেকা দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন ঢাকাকে নিরাপদ এবং বাসযোগ্য করার জন্য চেয়ারম্যানের নির্দেশনায় রাজউকের মোবাইল কোর্টের যে অভিযান অব্যাহত আছে সামনের দিকে এটা আরো বেগবান হবে। নতুন ভবন মালিকদের কে উদ্দেশ্য করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ভবন করতে হলে রাজউকের নিয়ম-কানুন মেনে এবং রাজউকের প্ল্যান নিয়ে ভবন নির্মাণ করতে হবে। রাজউকের নিয়ম অমান্য করলে কঠোরভাবে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
অর্থদন্ড ভবন মালিকদের সাথে কথা বলতে গেলে এ প্রতিবেদকে কোন সৎ উত্তর না দিয়ে পাস কাটিয়ে এরিয়ে যান।
স্থানীয়রা জানান, নকশা বহির্ভূত নিয়মিত এই অভিযান পরিচালনা করলে আর এভাবে কেউ নিয়মের বাইরে ভবন নির্মাণ করবে না। রাস্তার জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণ করার সাহস করবে না। রহমান উল্লাহ নামের এক ব্যক্তি বলেন, আওয়ামিলীগের আমলে এমন বহু অনিয়ম করে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। মিরপুরে ক্ষমতা আর টাকার বিনিময়ে নয়ছয় করে ঝুকিপূর্ণ ভবন তৈরি হয়েছে সেগুলোও উচ্ছেদ করা জরুরি।
এসময় মোবাইল কোর্টের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন রাজউক পরিচালক সালেহ আহমদ জাকারিয়া (জোন-৩), এবং অথরাইজড অফিসার-৩/১, জনাব শেখ মাহাব্বীর রনি, সহকারী অথরাইজড অফিসার, প্রধান ইমারত পরিদর্শক, ইমারত পরিদর্শক ও অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
