রাজু আহমেদ: প্রকাশিত- ৩১ জানুয়ারী ২০২৫ইং
মিরপুরে দিন দিন বেড়ে চলা অবৈধ অটোরিকশা, লেগুনা ও সিএনজি চলাচল জনজীবনে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি করছে। রূপনগর, পল্লবী, ও বাউনিয়াবাদসহ মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় এসব যানবাহন সড়কে যত্রতত্র স্ট্যান্ড তৈরি করে যানজট ও দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, এসব অবৈধ যানবাহন কোনো কাগজপত্র ছাড়াই ট্রাফিক আইনের তোয়াক্কা না করে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বৈধ যানবাহনগুলোকে নানা বিধি-নিষেধ ও হয়রানির শিকার হতে হলেও অবৈধ গাড়িগুলো নির্বিঘ্নে চলছে। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় প্রভাবশালী মহল ও কিছু রাজনৈতিক নেতা মাসিক চুক্তির মাধ্যমে এসব যানবাহনের অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
মিরপুরের প্রধান সড়কগুলোতে যেমন সাড়ে ১১ নম্বর সড়ক, কালশী রোড, মিরপুর ১০ গোলচত্বর, এবং গাবতলী বড় বাজারে অবৈধ লেগুনা ও সিএনজি স্ট্যান্ডের আধিক্য দেখা গেছে। এ ছাড়া, পল্লবী সিটি ক্লাব, রূপনগর বেড়িবাঁধ, ও বাউনিয়াবাদ এলাকায়ও একই চিত্র দেখা যায়। এসব এলাকার সড়কগুলোর বেশিরভাগ জায়গা দখল করে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখায় সাধারণ মানুষের চলাচল ও বৈধ যানবাহনের চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, এসব অবৈধ স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা চাঁদা তোলা হচ্ছে। কেউ এসব নিয়ে প্রশ্ন তুললে তাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখানো হয়। এমনকি সাংবাদিকদেরও হুমকির মুখে পড়তে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এসব যানবাহনের কারণে দুর্ঘটনার সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগের উদাসীনতা এবং স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের প্রশ্রয়ের কারণে পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে।
এদিকে, মিরপুরের বিভিন্ন থানা এলাকায় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে এসব সড়কের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। বিশেষ করে রূপনগর ও পল্লবী এলাকায় বিএনপি ও যুবদলের মধ্যে প্রায়ই ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটছে।
সাধারণ মানুষের দাবি, মিরপুরসহ রাজধানীজুড়ে অবৈধ যানবাহনের এই দৌরাত্ম্য বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হোক। একই সঙ্গে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক আইন কার্যকর করা ও সড়ক থেকে অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।