বাংলাদেশ একাত্তর.কম/শিউলী আক্তার;
আমৃত্যু সৎ বন্ধু বৎসল আদর্শবান সবার প্রিয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অ্যাথলেটিকস প্লেয়ার মোন্তাজ মোল্লা নিজ পরিবার সহ অসংখ্য বন্ধুবান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের চোখের জলে ভাসিয়ে গতকাল বিকেলে ৫ ঘটিকায় রংপুর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তিনি সৃষ্টিকর্তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে চিরবিদায় নেন তার এ বিদায় সর্বত্র শোকাহত পরিবেশের সৃষ্টি করেছেন, বিশেষ করে তার সবচেয়ে বেশি অবস্থান নেয়া দিনাজপুর আমবাড়ী বাজার এলাকায় রীতিমতো সৃষ্টি হয়েছে বেদনাবিধুর পরিবেশ।
প্রিয় মানুষটিকে হারিয়ে শোকাহত হাজারো মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে আদর্শবান এই বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বরনকালের কথা। এলাকাবাসী বলছেন, সর্বজন শ্রদ্ধেয় মোন্তাজ মোল্লা শুধু একজন মুক্তিযোদ্ধা ও অ্যাথলেটিকস প্লেয়ার হিসেবে নয় , এলাকার বাসিন্দা হিসেবে, পরিবারের অভিভাবক হিসাবে, মসজিদে মুসল্লী হিসাবে সর্বোপরি পূর্ণাঙ্গ একজন মানুষ হিসেবে তার গোটা জীবনটাই ছিল সততা আদর্শের মোড়ানো। তার কথা বার্তা আচার-আচরণ ধর্মানুভূতি থেকে শুরু করে হাঁটাচলা ছিল অনুকরণ করার মত। তার গলায় গলায় মিশে অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে জীবন কাঁটানো কাছের বন্ধুরাও বলছেন মোন্তাজ মোল্লা সাহেব সম্পূর্ণ আলাদা ঘরানার একজন মানুষ ছিলেন। তার আচরণে কিংবা কোন কথায় কেউ আঘাত পেয়েছে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তার সকল কিছুতেই এই সীমাবদ্ধতা থাকলেও সমাজসেবা ধর্মীয় কর্মকান্ড সহ ভালো কাজগুলো তাদের তৎপরতা ছিল সীমান। ঈর্ষণীয় আদর্শের মানুষটা যেন সমাজকে শুধু দেয়ার জন্য জন্মেছিল এমন মানুষ আর পাব না বলেই মোন্তাজ মোল্লার বন্ধু স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
আশেপাশের শতশত মানুষ জন এক নজর দেখতে এসে চোখের পানি আটকে রাখতে পারেননি। এমন হাজারো আলোচনা, স্মৃতিচারণ আর তার বিদ্রোহী আত্মার মঙ্গল কামনার মধ্য দিয়ে তার নিজ বাড়ির পাশে সফিকুল রাইস মিলে টিএনও সেনাবাহিনী পুলিশ সহ হাজারো জনতার উপস্থিতিতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার জানাজার নামাজ সম্পন্ন হয়। জানাজার নামাজ শেষে দৌলতপুর কাজীপাড়া জামে মসজিদের পাশেই তাকে দাফন করা হয়।