চট্টগ্রাম: নগরীর জামালখানে রীমা কমিউনিটি সেন্টারে পদদলনের শিকার হয়ে নিহত চারজনের পরিবারের সদস্যকে চাকরি দিয়েছে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই নিয়ে রীমা ট্র্যাজেডিতে নিহত ১০ জনের মধ্যে ৮ জনের পরিবারের কাজের সংস্থান হয়েছে।
প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা ছিলেন। তাঁর কুলখানির মেজবানে গিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যুর শিকার মানুষগুলোর অসহায় পরিবারের পাশে মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাঁড়িয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) নিহত চারজনের পরিবারের চার সদস্যের হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে নিয়োগের চিঠি তুলে দেওয়া হয়। এরা হলেন, নিহত অলক কুমার ভৌমিকের ছেলে রাহুল ভৌমিক, প্রদীপ তালুকদারের স্ত্রী রেখা তালুকদার, সুধীর দাশের স্ত্রী রুপালী দাশ এবং লিটন ভট্টাচার্যের ছেলে ছোটন ভট্টাচার্য।
এর আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিহত দুজন এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সাইয়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে দুজনের পরিবারের চার সদস্যকে চাকরি দেওয়া হয়।
এর মধ্যে নিহত কৃঞ্চপদ দাশ এবং ঝুন্টু দাশের স্ত্রীরা পেয়েছেন ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি। নিহত লিটন দেবের স্ত্রী এবং রাহুল দাশের ভাই পেয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি।
হতাহতদের পরিবারের দেখভালের দায়িত্বে থাকা নগর আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ও কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী বাংলানিউজকে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহিউদ্দিন ভাইয়ের বাসায় যখন এসেছিলেন, তখন স্বজনহারা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। নেত্রী তাদের পরিবারের সদস্যদের চাকরির ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন। নেত্রীর নির্দেশে নওফেল ভাই (মহিউদ্দিনের ছেলে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল) চাকরি দেওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ করেছিলেন।
‘প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একসঙ্গে চারজনকে চাকরি দিল। আমরা মানীয় উপাচার্য ড. অনুপম সেন স্যারের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও চারজনের পরিবারের সদস্যদের চাকরি দিয়েছেন। দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ’
জহরলাল জানান, রীমা ট্র্যাজেডিতে নিহত প্রকৌশলী সত্যব্রত ভট্টাচার্যের স্ত্রী প্রিয়াংকা শর্মা প্রধানমন্ত্রীর কাছে শিক্ষকতা