রাজু আহমেদ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ইং
প্রশাসনের রদবদল যদি জনগণের কল্যাণে হয়, তবে তা গ্রহণযোগ্য, কিন্তু যদি আসন্ন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে স্বৈরাচারী কায়দায় করা হয়, তবে জনগণ কখনো তা মেনে নেবে না— এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আদাবরের শেখেরটেক পিসিকালচার হাউজিং-এ ঢাকা মহানগর উত্তর আদাবর থানা বিএনপির কর্মীসভা ও “রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা” কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিঃ
আমিনুল হক বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায়। তারা চায় এমন একটি নির্বাচন, যেখানে তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। দেশের মানুষ আর কোনো স্বৈরাচারের জন্ম দেখতে চায় না।”
তিনি আরও বলেন, “গত ১৭ বছরে শেখ হাসিনার সরকার শুধুমাত্র ধনীদের আরও ধনী করেছে। অথচ বিএনপি সব সময় গরিব ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, ন্যায়ের পক্ষে কথা বলেছে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে।”
স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনাঃ
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা আরও বলেন, “স্বৈরাচারী সরকার দেশের জনগণের কাছ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। তারা জোরপূর্বক ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য রাষ্ট্রের সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করে ফেলেছে।”
তিনি উল্লেখ করেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ধ্বংসপ্রাপ্ত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কারের জন্য ৩১ দফার রূপরেখা দিয়েছেন। এখন আমাদের দায়িত্ব এই বার্তা দেশের তৃণমূল মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া।”
বিএনপির লক্ষ্য জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠাঃ
আমিনুল হক বলেন, “বিএনপি সবসময় সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। দলটির নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে সুসংগঠিত হয়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চায়।”
উপস্থিত নেতৃবৃন্দঃ
আদাবর থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সাদেক হোসেন স্বাধীন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মীসভা ও কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম-সহ মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
