নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা | মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে বিএনপি বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ধর্মীয় স্বাধীনতাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সম্প্রীতির বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করছেন।
পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনে শুভেচ্ছা বিনিময়
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে ঢাকা-১৬ আসনের বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন ও উপহার বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি রূপনগর বেরিবাঁধ, মিরপুর-২ নম্বর পূজা মণ্ডপ, পল্লবীর বিন্দাবন, উত্তর কালশি ও বাউনিয়াবাধ সার্বজনীন মন্দিরে গিয়ে পূজারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
ধর্মীয় স্বাধীনতা বিএনপি’র অন্যতম অঙ্গীকার আমিনুল হক বলেন, “বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের যে ৩১ দফা কর্মপরিকল্পনা দিয়েছেন, তার অন্যতম হলো ধর্মীয় স্বাধীনতাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান। বাংলাদেশে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ বা খ্রিষ্টান—সব ধর্মের উৎসবে আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে সহমর্মিতা প্রকাশ করব। এর মধ্য দিয়েই প্রকৃত সম্প্রীতির সমাজ গড়ে উঠবে।”
সরকারের সমালোচনা
সরকারের সমালোচনা করে তিনি অভিযোগ করেন, গত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার ধর্মীয় সম্প্রীতিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করেছে। মন্দিরে হামলা ও বিশৃঙ্খলার ঘটনাকে বিএনপির ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর প্রমাণিত হয়েছে—এসব হামলা আওয়ামী লীগ নিজেরাই করেছে, হিন্দু সম্প্রদায়কে বিএনপির বিপক্ষে দাঁড় করানোর জন্য।
হিন্দু সম্প্রদায়কে আস্থার বার্তা
হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশে আমিনুল হক বলেন, “আমি কখনো বলব না আপনাদের বিএনপি করতে হবে। আপনারা যেমন আছেন তেমনই থাকবেন। তবে আপনাদের সামাজিক, পারিবারিক ও মৌলিক চাহিদা পূরণে আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে সবসময় পাশে আছি।”
তিনি আরও যোগ করেন, আওয়ামী লীগ সবসময় হিন্দু সম্প্রদায়কে ‘সংখ্যালঘু’ বললেও বিএনপি তা মানে না। “আপনারা আমাদের ভাই, প্রতিবেশী, বাবা-মা, ভাই-বোন ও সন্তান। বিএনপি আপনাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যেতে চায়।”
শান্তি-সম্প্রীতির অঙ্গীকার
শেষে আমিনুল হক দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, “বিএনপি সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষকে নিয়ে একটি অসাম্প্রদায়িক ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা চাই এমন একটি দেশ, যেখানে থাকবে না হানাহানি বা বিশৃঙ্খলা—থাকবে শুধু শান্তি, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি।”


















