নিজস্ব প্রতিবেদক ১ জানুয়ারি ২০২৫,
গোপালগঞ্জ পৌরসভা ও নির্বাচন কমিশন অফিসে সাধারণ নাগরিকদের সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে চরম হয়রানির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। জন্ম নিবন্ধন বা ভোটার কার্ড করার মতো মৌলিক কাজগুলোতে দিনের পর দিন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নাগরিকদের।
সাধারণ মানুষের অভিযোগ, গোপালগঞ্জ পৌরসভায় কাজ করতে গেলে কর্মকর্তাদের অদক্ষতা এবং দায়িত্বহীনতার কারণে বিভিন্ন ধরনের অযাচিত প্রশ্ন, অসংখ্য কাগজপত্রের দাবি, এবং অযথা সময়ক্ষেপণের শিকার হতে হয়। এক সপ্তাহ বা তারও বেশি সময় লেগে যায় একটি সাধারণ জন্ম নিবন্ধন সনদ পেতে। অথচ এই ধরনের সেবা দ্রুত এবং সহজে পাওয়ার কথা।
একই চিত্র নির্বাচন কমিশন অফিসেও। কর্মকর্তারা দুপুরের আগে অফিসে উপস্থিত থাকলেও কাজ শুরু করতে দেরি করেন এবং আড়াই-তিনটার মধ্যেই “অফিস সময় শেষ” বলে কাজ ফেলে চলে যান।
ঢাকা থেকে সেবা নিতে আসা একজন নাগরিক, ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমার ভাগ্নি ৬ দিন ধরে ভোটার কার্ডের কাজ সম্পন্ন করেছে। প্রতিদিনই কোনো না কোনো অজুহাতে অফিস থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এমন দায়িত্বহীনতা মেনে নেওয়া যায় না।”
কর্তৃপক্ষের গাফিলতির পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুপারিশ কিংবা অবৈধ অর্থ প্রদান ছাড়া কাজ হওয়া দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, বিশেষ কোনো পরিচিতি বা ঘুষ প্রদান করলে দ্রুত কাজ হয়, অন্যথায় ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেও কাঙ্ক্ষিত সেবা মেলে না।
গোপালগঞ্জ পৌরসভায় সেবাপ্রার্থীদের হয়রানি এবং দুর্নীতির এই চিত্র যদি দ্রুত পরিবর্তন না হয়, তবে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণ অসম্ভব হয়ে পড়বে। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। জনসেবার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের সচেতনতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি এই ধরনের দুর্নীতি বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
সরকার এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সাধারণ মানুষের আকুল আবেদন, গোপালগঞ্জ পৌরসভা ও নির্বাচন কমিশন অফিসের অব্যবস্থাপনা এবং দুর্নীতি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হোক। জনসাধারণের মৌলিক সেবা প্রাপ্তির অধিকার যেন আর বিঘ্নিত না হয়।
ভুক্তভোগীরা বলেন, গোপালগঞ্জ জেলা ডিসি মহোদয়ের প্রতি আকুল আবেদন অল্প সময়ের মধ্যে সেবা প্রদান ও হয়রানি মুক্ত সাধারণ মানুষ তার নাগরিক সুবিধা গ্রহন করতে পারে সেই দিকে শুনজর দিবেন।