রিকশা গ্যারেজ দখলকে কেন্দ্র করে ককটেল বিস্ফোরণ, জনগণ আতঙ্কে
ঢাকা | ১ আগস্ট ২০২৫
রাজধানীর পল্লবী থানাধীন সেকশন-১২ এর শহীদবাগ স্কুলের পেছনে একটি রিকশা গ্যারেজের দখলকে কেন্দ্র করে ঘটে গেছে ভয়াবহ এক হামলার ঘটনা। শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে গ্যারেজের মালিক সানি (৩০) গুরুতর আহত হন এবং বর্তমানে কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত সানি জানান, হামলার পর সন্ত্রাসীরা তাকে ফোন করে জানায়—রাতের মধ্যেই তাকে এবং তার পরিবারকে “দেখে নেওয়া” হবে। এ অবস্থায় তিনি ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শহীদবাগ স্কুলের পেছনে অবস্থিত গ্যারেজটির মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি একটি প্রভাবশালী মহল গ্যারেজটি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েকজন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গ্যারেজে হামলা চালায়। তাদের হাতে ছিল রামদা, লাঠিসোটা এবং অন্যান্য ধারালো অস্ত্র। একজন নীল গেঞ্জি পরিহিত ব্যক্তি একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজে পুরো হামলার ভয়াবহতা ধরা পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, পল্লবীতে প্রায়ই সময় পরিবহন চাঁদাবাজি, সড়ক দখল, বিভিন্ন কোম্পানিতে চাঁদা দাবি ও মাদক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে হামলা ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে চলেছে।
হামলাকারীরা গ্যারেজে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে সানিকে মারধর করে। বাধা দিতে গেলে তার ছোট ভাই সাকিবকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসী দ্রুত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
গোপন সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত মনির ও রুবেল নামে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে তারা ঘটনাস্থল থেকে তাৎক্ষণিকভাবে আটক হয়েছেন, নাকি পরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে—তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিউল আলম বলেন, “ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি নিজেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলাম। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে এবং ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয়দের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ বিরাজ করছে এবং তারা দ্রুত স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রশাসনের প্রতি আশাবাদী।


















