মঙ্গলবার , ২২ জুলাই ২০২৫ | ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আওয়ামীলীগ
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. তথ্য-প্রযুক্তি
  8. ধর্ম
  9. বি এন পি
  10. বিনোদন
  11. বিশেষ সংবাদ
  12. রাজধানী
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. শিক্ষা

উত্তরায় স্কুল ভবনে বিধ্বস্ত ২৪ কোটির যুদ্ধবিমান: প্রাণ গেল ২৭ শিক্ষার্থীর

প্রতিবেদক
বাংলাদেশ একাত্তর
জুলাই ২২, ২০২৫ ৬:১৬ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা | সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

রাজধানীর উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় রূপ নিয়েছে। সোমবার দুপুর ১টার কিছু পরে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৭ জন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরও বহুজন। দুর্ঘটনার পরপরই স্কুল ভবনে ও বিমানে আগুন ধরে যায়, চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক আর কান্নার রোল।

বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি ছিল চীনের তৈরি ‘এফ-৭ বিজিআই’ মডেলের একটি যুদ্ধবিমান। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বহরে যুক্ত হয় এই বিমানটি। এর আনুমানিক মূল্য প্রায় ২৪ কোটি টাকা।

অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বিমান

‘এফ-৭ বিজিআই’ যুদ্ধবিমানটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২২০০ কিলোমিটার গতিতে উড়তে সক্ষম এবং এটি ৫৭ হাজার ৪০০ ফুট উচ্চতায় ওঠার ক্ষমতা রাখে। এক আসনের এই বিমানটি বহন করতে পারে প্রায় ১৫০০ কেজি ওজনের অস্ত্র ও সরঞ্জাম, যার মধ্যে রয়েছে আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র, লেজার ও জিপিএস গাইডেড বোমা এবং অতিরিক্ত জ্বালানির ট্যাংক।

এই বিমানে রয়েছে ‘কেএলজে-৬এফ’ সংস্করণের রাডার সিস্টেম এবং আধুনিক ডিজিটাল ককপিট ডিসপ্লে, যা বৈমানিককে আরও উন্নত নিয়ন্ত্রণ ও তথ্য সহায়তা প্রদান করে।

চীনের তৈরি, উৎপাদন বন্ধ এক দশক আগে

২০১১ সালে বাংলাদেশ সরকার চীনের সঙ্গে ১৬টি ‘এফ-৭ বিজিআই’ যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি করে। পরবর্তী কয়েক বছরের মধ্যে এই বিমানগুলো বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বহরে যুক্ত হয়। তবে চীন এই মডেলের উৎপাদন ২০১৩ সালেই বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বহরে ৩৬টি ‘এফ-৭’ মডেলের বিমান রয়েছে, যার বেশিরভাগই ‘বিজিআই’ সংস্করণের।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়েবসাইট অ্যারো কর্নারের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮৪ সালে এই ধরনের একটি বিমানের দাম ছিল ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমান বাজারে এর মূল্য প্রায় ২৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা (১ ডলার = ১২১.৬০ টাকা ধরে)।

প্রশ্নের মুখে প্রশিক্ষণ ও জননিরাপত্তা

প্রশিক্ষণ চলাকালীন সময়ে এতো ভারী অস্ত্রে সজ্জিত যুদ্ধবিমান জনবসতিপূর্ণ এলাকায় কেন উড়ছিল—তা নিয়ে ইতোমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীদের প্রাণহানির দায় এড়ানো কতটা সম্ভব, তা নিয়ে চলছে ব্যাপক বিতর্ক।

সরকারি সূত্র জানিয়েছে, ঘটনাটি তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং প্রাথমিক প্রতিবেদন পাওয়া গেলে বিস্তারিত জানানো হবে।

এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় জাতি শোকাহত। নিরাপত্তা এবং প্রশিক্ষণের নামে জনজীবনের ঝুঁকি নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় কি এখনো আসেনি?

সর্বশেষ - আইন ও আদালত