রবিবার , ২ আগস্ট ২০২০ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আওয়ামীলীগ
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. তথ্য-প্রযুক্তি
  8. ধর্ম
  9. বি এন পি
  10. বিনোদন
  11. বিশেষ সংবাদ
  12. রাজধানী
  13. লাইফস্টাইল
  14. শিক্ষা
  15. শিল্প ও সাহিত্য

মেজর অবঃ সিনহা হত্যার দায় কার?

প্রতিবেদক
bangladesh ekattor
আগস্ট ২, ২০২০ ১২:২৪ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ একাত্তর.কমঃ এরশাদ হোসেন

সদ্য অবসরে যাওয়া মেজর অবঃ মেজর অবঃ সিনহা হত্যার দায় কার? হত্যার দায় কার?

সিনহা গতকাল রাতে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। শ্যামলাপুর আর্মি ক্যাম্পের কাছে এ গুলাগুলির ঘটনা ঘটে।

সুত্র জানা,য় গত ৩ জুলাই ২০২০ ইং তারিখে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা এবং সাথে আরও তিনজন নিয়ে ইউটিউব এর ট্রাভেল ভিডিও (জাস্ট গো) তৈরি করার জন্য ঢাকা থেকে কক্সবাজারে আগমন করেন। সাথে ছিলেন ডাইরেক্টর শিপ্রা, ক্যামেরাম্যান সিফাত ও আরো একজন নিয়ে নীলিমা রিসোর্টে অবস্থান গ্রহণ করেন। নীলিমা রিসোর্ট থেকে ভিডিও ধারণের জন্য বাহারছড়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের রাতের ভিডিও ধারণ করার জন্য রাত; ০২ ঘটিকার সময় মেজর সিনহা ও সিফাত পাহাড় দেখতে আসেন। লাইটের আলো দিয়ে পাহাড়ে অবস্থান গ্রহণ করলে স্থানীয় বাসিন্দারা ডাকাত দল ভেবে পুলিশকে খবর দেন।

এই পরিস্থিতিতে মেজর সিনহা ও সিফাত পাহাড় থেকে নেমে এসে মেরিন ড্রাইভ রোডে প্রাইভেট কারে উঠে নীলিমা রিসোর্ট এর উদ্দেশ্যে গমন করার সময় বিজিবির চেকপোষ্টে মেজর সিনহা পরিচয় দিয়ে চলে আসে। পরবর্তীতে লামাবাজার পুলিশ চেকপোস্টে এলে পুলিশের সাথে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা বলে পরিচয় দেন। পুলিশ তাকে ডাকাত ভেবে চেক করতে গেলে পুলিশের সাথে তর্কাতর্কি হয়। মেজর সিনহা স্যার বলে, আপনারা আমার গাড়ি চেক করতে পারেন না। গাড়ি চেক করতে হলে আপনার ওসি সাহেবকে আসতে বলেন। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ইন্সপেক্টর লিয়াকত সাহেব কে ব্যাপারটি জানায়।

পরে ইন্সপেক্টর লিয়াকত সাহেব তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে বেঁধে রাখার নির্দেশ দেন। কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা মেজর সিনহা কে বলে আপনারা যেই হোন না কেন আপনাদের গাড়ি আমাদের চেক করতে হবে আপনারা গাড়ি থেকে নামুন। মেজর সিনহা গাড়ি থেকে নামার সাথে সাথে হাত-পা বেঁধে রোডের উপরে শুয়ে রাখে। এই অবস্থায় ইন্সপেক্টর লিয়াকত সাহেব আসেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে তাদের সাথে তর্ক বিতর্ক হয়। তর্ক বিতর্ক হওয়ার কারণে মেজর সিনহা কে বুকে ও গলার নিচে তিন রাউন্ড ফায়ার করে। সিফাতকে হাত-পা বেঁধে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়।

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা কে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সিভিল মিনি ট্রাকে করে কক্সবাজার সদর হসপিটালে নিয়ে যায়।
মেজর সিনহা ৫১ তম ব্যাচে সেনাবাহিনীতে অফিসার হিসাবে যোগদান করেন। সদা হাস্যজ্জল এবং মেধাবী অফিসার হিসাবে সবার সাথেই সখ্যতা ছিল। চৌকস এই অফিসার এসএসএফে তিন বছর কর্মরত ছিলেন। পুলিশ অফিসার লিয়াকতের অদায়িত্বশীলতার কারণে দেশ হারাল এক সূর্যসন্তান কে। এ ঘটনায় সেনা অফিসারদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এখন প্রশ্ন হল, পুলিশ কেন তার উপর গুলি চালাল? হাত-পা বাঁধা অবস্থায় কোন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়ীত্ব সদস্য কি কারো উপরে এভাবে গুলি চালাতে পারে? আসলেই ভুল বুঝাবুঝি নাকি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড? পুলিশ অফিসার লিয়াকতের গুলির নির্দেশ কে দিয়েছিল? খুব শ্রীঘ্রই কি হত্যার জট খুলবে?

সর্বশেষ - সর্বশেষ সংবাদ