রবিবার , ২৩ জানুয়ারি ২০২২ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন ও আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. তথ্য-প্রযুক্তি
  8. ধর্ম
  9. বিনোদন
  10. বিশেষ সংবাদ
  11. রাজধানী
  12. রাজনীতি
  13. লাইফস্টাইল
  14. শিক্ষা
  15. শিল্প ও সাহিত্য

পল্লবী থানার ওসিসহ ১৭ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ

প্রতিবেদক
bangladesh ekattor
জানুয়ারি ২৩, ২০২২ ৭:৪৫ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশ একাত্তর.কম/নিজেস্ব প্রতিবেদক:

ঢাকা: রাজধানীর পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম সহ ১৭ পুলিশের বিরুদ্ধে অনাধিকার গৃহ প্রবেশ করে ভাংচুর ও চুরির অভিযোগে মামলার আবেদনটি খারিজের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ রোববার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।

অভিযোগ খারিজের আদেশে বিচারক উল্লেখ করেন, আসামিদের বিরুদ্ধে বাদীর পূর্ব কোনো বিরোধ বা শত্রুতা ছিলো মর্মে নালিশী দরখাস্তে উল্লেখ নাই। আসামিরা সরকারি দায়িত্ব পালন করছিল মর্মে দেখা যায়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরে সরকারি কোনো অনুমোদন নেই।

অভিযোগের আসামিরা মাদক উদ্ধারের অভিযান পরিচালনা এবং বাদীর ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের কারণে এ মামলার সৃষ্টি মর্মে দেখা যায়। সার্বিক বিবেচনায় এ অভিযোগে মামলায় অগ্রসর হওয়ার কোনো কারণ নেই। কাজের ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ২০৩ ধারা মতে অভিযোগটি খারিজ করা হলো।

গত ২০ জানুয়ারি ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে অভিযোগটি আবেদন করেন মো: পারভেজ আহম্মদ নামে এক ব্যক্তি। তিনি মিরপুর ১১ বিহারী ক্যাম্প এলাকার বাসিন্দা।

এজাহারে অভিযুক্ত করা হয়েছিলো পল্লবী থানার সাব-ইন্সপেক্টর কাউসার মাহমুদ, জহির উদ্দিন আহমেদ, নূরে আলম সিদ্দিকী, মো. সজিব খান, মামুন কাজী, মিল্টন দত্ত, মহিদুল ইসলাম, পার্থ মল্লিক, পিন্টু কুমার, মো. শাহরিয়ার নাঈম রোমান, মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, মো. আনোয়ারুল ইসলাম, মো. ফেরদৌস রহমান, এএসআই সোহেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, হরিদাস রায়, মো. আকিজুল ইসলাম এবং সোর্স খোকন।,

পল্লবী থানা ওসি পারভেজ ইসলাম বলেন, বিগত প্রায়ই ৪০ বছর ধরে পল্লবীর বেশির অংশ এলাকা জুড়ে অবাঙালীদের মোট ৩৮টি ক্যাম্প থাকায় মাদকের ভয়াবহতা বিরাজ করছে। মাদক নির্মুল অভিযানে ক্যাম্প এলাকায় প্রবেশে পুলিশের বিরুদ্ধে নানা প্রপাগাণ্ডা ছড়াচ্ছে ও আইনি কাজে বাঁধা প্রদান করছে। তিনি আরও বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সময়ে হদুল সাংবাদিকদের ইন্দোনে বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও অনলাইন টিভি চ্যানেলে পল্লবী থানা প্রশাসনের বিরুদ্ধে ভুয়া তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশিত করেছে। এমনকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ডিএমপির পুলিশ কমিশনার সহ পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তা বরাবর মিথ্যা অভিযোগ করেন। ইতোমধ্যে তাদের করা অভিযোগ তদন্তে সব মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে।

গোয়েন্দা সুত্র বলছে, মাদক কারবারিদের পাশাপাশি যারা মাদক ব্যবসায়ীদের থেকে মাসোহারা পেয়ে সেল্টার দেয় এবং পুলিশের কাজে বাঁধা প্রদান করে তাদের নামের তালিকাও করা হচ্ছে।

পল্লবীর মাদক সংশ্লিষ্ট বিহারি ক্যাম্প গুলোর মধ্যে রয়েছে মুরগাপাড়া ক্যাম্প, ফুটবল ক্যাম্প, রহমত ক্যাম্প, মিল্লাত ক্যাম্প, ডিসিসি ক্যাম্প, মেডিকেল ক্যাম্প , কুর্মিলোটোলা ক্যাম্প, ৪নং ওয়াবদা ক্যাম্প, জল্লা ক্যাম্প, নতুন ক্যাম্প, এডিসি ক্যাম্প, তালাব ক্যাম্প, বালুর মাঠ ক্যাম্প, হিজলা ক্যাম, ইরানি ক্যাম্প, ইত্যাদি।

পল্লবীর সাধারণ মানুষ বলছেন, বিহারি ক্যাম্প গুলো রাজধানীর মধ্য থাকায় তারা খুবই বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এরা ক্যাম্প গুলোর ভিতর ও বাইরে কোটি কোটি টাকার মাদক বিক্রি করে। নারী মাদক সম্রাজ্ঞী ও পুরুষ মাদক সম্রাটদের ছেলে-মেয়েরা কিশোর কিশোরী দিনে রাতে দলবেঁধে চুরি করে, ছিনতাই করে। এমনকি মাদক বানিজ্যও করে। দেশের মেগা প্রকল্প মেট্রোরেলের মালামাল দিনে রাতে এমনকি প্রকাশ্যেই চুরি করে পল্লবীর বিভিন্ন ভাঙ্গারীর দোকানে বিক্রি করে। তাদের বাঁধা দিলে ছুরি দিয়ে কোপাতে আসে।

সর্বশেষ - রাজনীতি