✅ মাঠ রক্ষায় আমিনুল হকের হস্তক্ষেপ, বিতর্কিত বানিজ্যিক মেলা থেকে রক্ষা পেল ঐতিহাসিক ঈদগাহ মাঠ
✅ নিজস্ব প্রতিবেদক
পল্লবী, ঢাকা | ২৫ জুন ২০২৫
রাজধানীর পল্লবীর ঐতিহাসিক ঈদগাহ ও খেলার মাঠ, স্থানীয়ভাবে ‘লাল মাঠ’ নামে পরিচিত, সেখানে প্রস্তাবিত একটি বাণিজ্যিক মেলা বাতিল হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরে এসেছে। স্থানীয় নারী উদ্যোক্তা মেলার ব্যানারে আয়োজিত এ কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল।
জানা গেছে, একটি গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে ‘নারী উদ্যোক্তা’ সাইনবোর্ড ব্যবহার করে রাজধানীর বিভিন্ন খেলার মাঠ দখল করে মেলা বসানোর চেষ্টা করছে। এবার তারা পল্লবীর লাল মাঠকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছিল, যেখানে প্রতিদিন শত শত শিশু-কিশোর খেলাধুলা ও স্থানীয়রা শরীরচর্চা করেন।
✅ বিতর্কিত অনুমোদন ও জনমনে ক্ষোভ
বিএনপির সাবেক কাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেন ওই মেলার অনুমোদন দিয়েছিলেন। এ ধরনের কার্যক্রম শুধু বিএনপি আমলে নয়, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েও একই গোষ্ঠী মাঠ দখল করে মেলা আয়োজন করেছিল।
✅ ‘বাংলাদেশ একাত্তর’ প্রতিবেদনেই সচেতনতা তৈরি
২৩ জুন “বাংলাদেশ একাত্তর” অনলাইন পোর্টালে “মাঠ দখল করে মেলা আয়োজন” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। জনমনে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এরপর কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা সাজিদ আহমেদ সুমন সরাসরি মাঠ রক্ষায় উদ্যোগ নেন এবং বিষয়টি বিএনপি নেতা আমিনুল হককে জানান।
✅ আমিনুল হকের সিদ্ধান্তে বন্ধ হয় মেলা
সাজিদ আহমেদ সুমনহস এলাকাবাসীর দাবীর অনুরোধে আমিনুল হক মাঠে মেলা বন্ধের নির্দেশ দেন বলে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাধ্যমে জানাগেছে, যা বাস্তবায়নের মাধ্যমে লাল মাঠ রক্ষা পায়। এর ফলে এলাকাবাসী উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে এবং বলে, “মাঠে শরীরচর্চা, হাঁটা ও খেলাধুলার পরিবেশ ফিরে আসায় আমরা স্বস্তি পেয়েছি।”
এলাকাবাসী মনে করছেন, ভবিষ্যতে যেন কেউ আবার মাঠ দখলের সাহস না পায়, এজন্য মাঠ পরিচালনা কমিটিতে প্রকৃত সমাজসেবক ও স্থানীয় নাগরিকদের অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। একজন মাঠ কমিটির সদস্য জানিয়েছেন, “আমরা নিরীক্ষণ করছি, মাঠ রক্ষা আমাদের দায়িত্ব। এই মাঠ আমাদের শেষ সম্বল, এবং এটা বিভিন্ন এলাকার শিশুদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।”
✅ জনমত:
এলাকা বাসীর একজন বলেছেন, “মেলা বন্ধ হওয়াটা শুধু একটি সাফল্য নয়, এটি একটি বার্তা—জনসচেতনতা, সাংবাদিকতা এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছা একত্র হলেই মাঠ দখল প্রতিহত করা সম্ভব।”
পল্লবীর লাল মাঠ বাণিজ্যিক মেলা থেকে রক্ষা পেয়ে আবারও ফিরছে তার মূল রূপে—সবার জন্য উন্মুক্ত, স্বাস্থ্যবান্ধব ও খেলাধুলার উপযোগী একটি মুক্ত প্রাঙ্গণ।
এলাকাবাসীর প্রত্যাশা, ভবিষ্যতে এ মাঠে যেন কোনো ধরনের বানিজ্যিক কার্যক্রম না হয় এবং এটি শিশু-কিশোর ও সাধারণ মানুষের জন্য সর্বদা উন্মুক্ত থাকে। তাদের দাবি, এ-ব্লক ছাড়া অন্য ব্লকের কেউ যেন মাঠ কমিটির তালিকায় না থাকে, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।