বাংলাদেশ একাত্তর. কম /মোঃ রাজু আহমেদ
পল্লবী থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানার বিরুদ্ধে পুলিশ সার্জেন্টকে পিটানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পল্লবী থানায় একটি মামলা করেছেন ওই পুলিশ সার্জেন্ট।
সোমবার (২৭ জুলাই) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পল্লবী থানা অফিসার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবদুল মাবুদ।
পুলিশ সূত্র জানায়, মিরপুরের কালসী পুলিশ বক্সের কাছাকাছি এলাকায় বসুমতি বাস নষ্ট হয়ে যায়। সে বাসটিকে রাস্তা থেকে সরানোর সময় পল্লবী থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা গালমন্দ করতে থাকে ও পুলিশের সাথে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে পুলিশের উপর চড়াও হয়ে ধস্তাধস্তি ও মারধরের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে দলবল নিয়ে পুলিশ বক্সে হামলা চালায় ও সার্জেন্ট ফরহাদকে দ্বিতীয় দফায় মারধর করে।
এ ঘটনায় পল্লবী থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী সার্জেন্ট ফরহাদ রোববার রাতে ২৬ জুলাই মামলা (যাহা নং ৬১) করেন।
পল্লবী জোনের সার্জেন্ট ফরহাদ বলেন, তার সাথে আমার ধস্তাধস্তি হয়। পল্লবী থানার যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা দলবল নিয়ে পুলিশ বক্সে হামলা চালায়। এতে স্যারসহ আমি আহত হই। তারপর দ্বিতীয় দফায় আমাকে লাথি ও ঘুষি দিয়েছে।
পুলিশ সার্জেন্টকে মারধর করার বিষয়ে জানতে জুয়েলের বাউনিয়াবাধ এলাকার অফিস, বাসায় গিয়ে এবং মোবাইলের মাধ্যমেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি
এবিষয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী-যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খাঁন নিখিল বলেন, যদি তার অপরাধ প্রমাণিত হয় তাহলে দল থেকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এলাকা সুত্রে জানাযায়, জুয়েল রানা পল্লবী থানা যুবলীগের সাধার সম্পাদক হয়ে বাউনিয়াবাধ এলাকার বাসিন্দা হলেও তিনি থাকেন মিরপুর ১২ ডিওএইচএস এলাকার দামি ফ্লাটে। জুয়েলের গ্রামের বাড়ী বিক্রমপুরে কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করেছেন আলিসান বাড়ী। নামে বে-নামে একাধিক গাড়ী, প্লট, ফ্ল্যাট। যিনি অর্থের অভাবে পড়াশোনা না করতে পারলেও রাজনীতিতে নাম লেখায়ে এখন তিনি অঢেল সম্পত্তির মালিক। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে নির্বাচনে হেরেছেন বহু ভোটের ব্যবধানে।
স্থানীয় নেতারা বলেন, টাকার গরমে পা যেন তার মাটিতেই পড়েনা। রিকশাওয়ালার ছেলে জুয়েল রানা রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপটেই দিনকে দিন অশুভনীয় আচার-আচরণ করে সিনিয়রদের সাথে। তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মনে রয়েছে চাপা ক্ষোভ আওয়ামী-যুবলীগ রাজনীতির সাথে জড়িত বলেই ভয়ে কেউই প্রকাশ করেনা।
পল্লবী থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবদুল মাবুদ বলেন, পল্লবী জোনের সার্জেন্টের ওপরে হামলার ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করতে আমাদের অভিযান চলমান আছে।