বৃহস্পতিবার , ১০ এপ্রিল ২০২৫ | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আওয়ামীলীগ
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. তথ্য-প্রযুক্তি
  8. ধর্ম
  9. বি এন পি
  10. বিনোদন
  11. বিশেষ সংবাদ
  12. রাজধানী
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. শিক্ষা

ছাত্র হত্যা মামলার আসামিকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে বিএনপি নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ!

প্রতিবেদক
বাংলাদেশ একাত্তর
এপ্রিল ১০, ২০২৫ ৮:৫২ অপরাহ্ণ

সুমন মাস্টার: প্রকাশ, ১০ এপ্রিল ২০২৫:

রাজধানীর কল্যাণপুরে ঘটে যাওয়া এক ভয়াবহ ঘটনায় ছাত্র হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামিকে পুলিশের হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. শাকিল আহমেদ স্বপনের বিরুদ্ধে। ঘটনার ভিডিওচিত্র ও গোয়েন্দা প্রতিবেদনে প্রমাণ পাওয়ার পরপরই দলীয় শৃঙ্খলার অংশ হিসেবে বিএনপি তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে।

ঘটনাটি ঘটে গত মঙ্গলবার রাত ১০টা ৩০ মিনিটে। মিরপুর মডেল থানার একটি টিম কল্যাণপুর নতুনবাজার এলাকা থেকে ছাত্র হত্যা মামলার আসামি পিয়াজ মাঈনউদ্দিন হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু তাকে পুলিশের গাড়িতে তোলার পরপরই ঘটনাস্থলে এসে হাজির হন বিএনপি নেতা শাকিল আহমেদ স্বপন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তিনি সেসময় দলবলসহ উপস্থিত হয়ে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা করেন এবং একপর্যায়ে গাড়ির দরজা খুলে আসামিকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেন।

ভিডিও ফুটেজে ঘটনার প্রমাণ, তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য
প্রাপ্ত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, পুলিশের গাড়ির দরজা খোলা, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি এবং গাড়ি থেকে আসামিকে নামিয়ে নেওয়ার দৃশ্য। গোয়েন্দা রিপোর্টেও নিশ্চিত করা হয়েছে—বিএনপি নেতা শাকিল আহমেদ স্বপনের নেতৃত্বেই আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

দলীয় ক্ষোভ ও ব্যবস্থা: কারণ দর্শানোর নোটিশ বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিএনপির অভ্যন্তরীণ রাজনীতি। দলের তৃণমূল নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এমন কাজ দলের ভাবমূর্তি ও শৃঙ্খলার পরিপন্থী। উত্তর মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে পাঠানো চিঠিতে শাকিল আহমেদ স্বপনকে আগামী ৫ (পাঁচ) দিনের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে—কেন তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না।

চিঠিতে বলা হয়, “দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আপনার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার কারণ লিখিতভাবে আগামী ৫ দিনের মধ্যে জানাতে হবে।”
চিঠিতে স্বাক্ষর করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক এ বি এম এ রাজ্জাক।

রাজনৈতিক জটিলতা ও তদন্তের দিক
এই ঘটনায় শুধু দলীয় ভেতরে নয়, গোটা রাজনৈতিক অঙ্গনেই ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও বিষয়টি তদন্ত করছে এবং প্রয়োজনে মামলা পুনরায় রুজু বা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে একাধিক সূত্র।

ছাত্র হত্যা মামলার আসামির দাবি:

ষড়যন্ত্রের শিকার ছাত্র হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মাঈনউদ্দিন বলেন, “শাকিল আমার ভাগ্নে, তাই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন। এই কারণে বিষয়টি আরও বহুদূর গড়িয়েছে। আমি নির্দোষ—আমাকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হচ্ছে।” তিনি আরও দাবি করেন, “আমার বিরুদ্ধে তদন্ত করলেই ৪ আগস্টের কোনো ঘটনার সঙ্গে সংপৃক্ততা পাওয়া যাবে না। কারণ, আমি ওই দিন বাজারে ছিলাম।”

সর্বশেষ - জাতীয়