ঢাকা, ২৮ এপ্রিল ২০২৫:
রাজনীতিতে সত্য বলার অপরাধে ক্রমাগতভাবে কোণঠাসা করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের ত্যাগী নেতা সাজিদ আহমেদ সুমনকে। অপরাধ ও অনিয়মের বিরুদ্ধে আপসহীন প্রতিবাদী মনোভাবের কারণে দলের ভেতরে সুবিধাভোগী একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে। অথচ পল্লবী ও রূপনগর এলাকায় যারা বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত কিংবা বিদেশে পলাতক, তারা অবলীলায় রাজনৈতিক পদ-পদবি ও সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে চলেছে; নেতার আশীর্বাদও তাদের ওপর অটুট রয়েছে।
সাজিদ আহমেদ সুমন কখনোই অন্যায়ের প্রশ্রয় দেননি, বরং অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে উচ্চকণ্ঠ হয়েছেন। তার এই নির্ভীক অবস্থানই রাজনৈতিক পথরোধের বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তিনি বহুবার মামলা-হামলার শিকার হয়েছেন। ২০১৩ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়ে ছাত্রদলের কার্যক্রম সীমিত থাকলেও মাত্র ১৬টি আসনে কার্যকর তৎপরতা দেখা গেছে, যেখানে সুমনসহ মাত্র দুইজন নেতা গ্রেপ্তার হন এবং বিএনপির পক্ষে মিটিং-মিছিল পরিচালনা করেন। সেই সময় বারবার পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন সুমন ও আরও দুইজন কর্মী। এখন বহু ছাত্রদল নেতা-কর্মী প্রকাশ্যে ফিরে এসেছেন বা নেতার আশীর্বাদে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন; অথচ সুমন তখন যেমন ছিলেন, এখনো তেমনি নিঃস্বভাবেই রাজনৈতিক সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন।
দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা চলাকালে, সোমবার, ২৯ এপ্রিল রাত আড়াইটার দিকে মিরপুর ১২-এর আবেশ হোটেলের সামনে তিনি হঠাৎ বিকট শব্দ শুনে চমকে গিয়ে পায়ে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন। পরে তাকে দ্রুত মিরপুর ১১-এর ইসলামী হাসপাতালে নেওয়া হয়।
কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে অন্তত তিন দিনের জন্য সম্পূর্ণ বেড রেস্টের নির্দেশ দিয়েছেন।