রবিবার , ১৬ এপ্রিল ২০২৩ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আওয়ামীলীগ
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. তথ্য-প্রযুক্তি
  8. ধর্ম
  9. বি এন পি
  10. বিনোদন
  11. বিশেষ সংবাদ
  12. রাজধানী
  13. লাইফস্টাইল
  14. শিক্ষা
  15. শিল্প ও সাহিত্য

প্রচন্ড এই গরমে গর্ভবতী মায়েরা সুস্থ থাকতে যা করা জরুরি

প্রতিবেদক
bangladesh ekattor
এপ্রিল ১৬, ২০২৩ ২:২৫ অপরাহ্ণ

প্রকাশ: রবিবার” ১৬ (এপ্রিল) ২০২৩; বাংলাদেশ একাত্তর;

প্রচুন্ড এই গরমে ছোট-বড় সবারই প্রাণ ওষ্ঠাগত। গ্রীষ্মের মৌসুমে গর্ভবতী মায়েদের কষ্ট আরো বেড়ে যায়। এ পরিস্থিতিতে সুস্থ থাকতে যা করা জরুরী।

গর্ভাবস্থায় মা ও তার অনাগত সন্তানের শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা প্রয়োজন। এ সময় গর্ভবতীদের মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, ঠোঁট মুখ শুকিয়ে যাওয়া, কম প্রস্রাব বা হলুদ প্রস্রাব হলে বুঝতে হবে তাদের শরীরে পানির ঘাটতি রয়েছে। গ্রীষ্মের তাপে গর্ভবতী নারীদের শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি হতে পারে। এ কারণে এই গরমে শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখতে তাদের কমপক্ষে দিনে ১০ থেকে ১৫ গ্লাস পানি খাওয়া প্রয়োজন।

★তীব্র তাপদাহ থেকে বাঁচতে গর্ভবতী নারীদের প্রচুর পরিমাণে ফল ও ফলের রস খাওয়া জরুরি। গরমকালে খাদ্যতালিকায় শসার মতো সবজি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এছাড়া এ সময় মসলাদার অতিরিক্ত তেল যুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে।

★এই গরমে গর্ভবতী মায়েরা সাদা বা প্যাস্টেল শেডের ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরুন। শরীরে গরমের চাপ প্রভাব বিস্তার করতে না পারে।

★গরমের দিনে, নরমাল ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করা গর্ভবতীদের জন্য আরামদায়ক হবে। গর্ভাবস্থায় সাঁতার কাটাও অনেক ভালো। তবে কোনো ধরনের নতুন শারীরিক কার্যকলাপ শুরু করার আগে আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

★এই গরমে গর্ভবতী নারীরা লবণাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। এ ধরনের খাবার খেলে শরীর আরও তৃষ্ণার্ত করে তুলবে। এ কারণে গ্রীষ্মে গর্ভাবস্থায় আলুর চিপস, কুকিজ, ওয়েফার এবং পাস্তার মতো খাবার এড়িয়ে চলুন।

★সম্ভব হলে পা একটু উঁচু করে বসুন। হাতের তালুতে মাঝে মধ্যে পানির বোতল ধরে নাড়াচাড়া করুন। এতে হাত ও পায়ের রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে। গ্রীষ্মে, গর্ভবতী নারীদের হাত পা সহজেই ফুলে যায়, তাই হাত পায়ের যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

★গ্রীষ্মের তাপ গর্ভবতী নারীদের শরীরে শুষ্কতা আরও বাড়িয়ে তোলে, তাই বিশ্রাম নিতে ভুলবেন না। দুপুরে খাওয়ার পর তাদের অন্তত ৩০ মিনিট ঘুমানো উচিত। এছাড়া প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা বিশ্রাম থাকাও উচিত।

★হাঁটা, সাঁতার কাটা, যোগব্যায়াম এবং অন্যান্য প্রসবপূর্ব ব্যায়াম হবু মা এবং তার সন্তানের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। গ্রীষ্মের সময়, দিনের প্রথম অংশে বা সন্ধ্যায় যখন তাপমাত্রা কম থাকে তখন ব্যায়াম করা উচিত। ব্যায়ামের সময়, যদি ক্লান্ত বোধ করেন তাহলে না করাই ভালো।

★গ্রীষ্মের এই সময় গর্ভবতী নারীরা সকাল বা সন্ধ্যায় বের হলেও তা সীমিত করুন। এছাড়া সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বাইরে না যাওয়ার চেষ্টা করুন।

★ঘুম এবং বিশ্রাম হবু মায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ঘুম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। গ্রীষ্মের তাপ গর্ভবতীদের আরও ক্লান্ত করতে পারে। এ পরিস্থিতিতে নিজের জন্য সময় নিন। বই পড়ুন, গান শুনুন। পাশাপাশি মেডিটেশন করুন।

★এই গরমে অতিরিক্ত সব্দ দুষন, যেমন বাসায় অযথা চেচামেচি, হৈচৈ, বিকট সব্দ করে গান শোনা ইত্যাদি থেকেও গর্ভবতী মায়েরা বিরত থাকুন। না হলে আপনার অনাগত সন্তানের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যত সম্ভব হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন।

সর্বশেষ - সর্বশেষ সংবাদ