প্রতিবেদক: নাসিম উজ জামান/ প্রকাশিত/ সময়/২২:টা২৮ মিনিট/০৫/০২/২০২১ ইং।
বিবাহের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে কনের চাচার বন্ধু ইমরানকে আবাসিক এলাকার বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের একটি গ্যাসের কারখানার ভিতর বন্দী করে মারধর করে রক্তপাত ঘটায়। জানা গেছে ৭/৮ জন প্রকাশ্যে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে অবৈধ গ্যাসের চুলার কারখানার ভিতর এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে পল্লবী থানায় ভুক্তভোগী ইমরান বাদী হয়ে মােঃ রানা (৩২),মােঃ রায়হান (২৪), মােঃকালু (২৫) সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, রাজধানীর পল্লবী থানাধীন সেকশন-১১, ব্লক-ডি, আরবান পার্কে বন্ধুর ভাতিজির বিবাহের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে বিবাদী মােঃ রায়হান এর সাথে অন্য লােকজনের কথা কাটাকাটি হলে তাদেরকে ঝগড়া বিবাদ করতে নিষেধ করেন ইমরান। গত ০৪/০১/২০২১ রাত আনুমানিক ১১.টার দিকে ব্লক-ই, লাইন-১৬, বাসা-১ গ্যাসের চুলা তৈরী কারখানার সামনে পুনরায় দেখা হলে কথা আছে বলে ডেকে কারখানার ভিতর নিয়ে আটক করে বেআইনী ভাবে হাতে দা বটি, লােহার রড, কাঠের বিট নিয়ে ৭/৮ জন সম্মিলিত হয়ে এলােপাথারীভাবে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। বিবাদী মােঃ রানা দা দিয়ে কপালের উপর কোপ দিয়ে কাটা রক্তাক্ত জখম করে এবং বিবাদী মােঃ রায়হান হত্যার উদ্দেশ্যে বটি দিয়ে মাথার উপর কোপ মেরে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। তার ডাক চিতকারে আশপাশের লােকজন এগিয়ে আসলে বিবাদীরা চলে গেছে।
স্থানীয়রা বলেন, আবাসিক এলাকায় বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এটা সম্পুর্ন অবৈধ ভাবে চলে। সেখানে প্রতিনিয়ত এলাকার খারাপ বখাটেদের আনাগোনা। কারখানার মালিক পক্ষের সামনে এঘটনা ঘটে। ইমরান একটি চায়ের স্টলে তার বাবার সাথে কাজ করে।
কারখানার ভিতর আটক করে মারপিট ও জখমের বিষয়ে পল্লবী থানার এস আই পিন্টু বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। আসামীদের ধরার চেষ্টা চলছে। বাদীর লোকজন থানায় আসলে মামলা রেকর্ড হবে।
গ্যাসের চুলা তৈরীর কারখানার মালিক বাশার বলেন, যখন মারামারি হয় তখন আমি ছিলাম না। আবাসিক এলাকায় বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নিয়ম আছে কি? জানতে চাইলে বাশার বলেন, আমার কারখানাটা বৈধ সব কাগজ পত্র আছে।