নিজস্ব সংবাদদাতা;
গত ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও আওয়ামী লীগের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দলের রাঘোব বোয়ালরা পলায়ন করলেও এখনও থেমে নেই আওয়ামী ঘরনার নেতাকর্মীদের তণ্ডবলীলা। খোদ রাজধানীর মিরপুর পল্লবীর বাউনিয়াবাধঁ এলাকায় এখনও বুক ফুলিয়ে চলছে ৫নং ওয়ার্ড কৃষকলীগের আহ্ববায়ক সুমন। চলছে তার নেতৃত্বে হামলা-মামলা, দখল-লুটপাট বাণিজ্য।
গত ২২ নভেম্বর স্থানীয় ভুক্তভোগী ব্যাবসায়ী আলামিন কৃষকলীগ নেতা সুমন ওরফে পেটকাটা সুমন সহ তার সহযোগী দেলোয়ার, রাজন, আলী আকবরের নাম উল্লেখ সহ ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় অভিযোগ করা হয়। লিখিত অভিযোগ জমা দেবার পরেও অজ্ঞাত কারণে এখনো নেওয়া হয়নি কোনো আইনি কার্যকরী পদক্ষেপ। আওয়ামিলীগের কৃষক লীগের নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করার কারণে ভুক্তভোগীদের দিন কাটছে চরম আতঙ্কে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২১ নভেম্বর রাতে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৫ নং ওয়ার্ড (মিরপুর পল্লবী) কৃষকলীগের আহ্বায়ক সুমন মিয়া ওরফে পেটকাটা সুমন, তার সহযোগী কৃষকলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আকবর ওরফে জাকির হোসেন, দেলোয়ার, রাজনসহ ১০-১২জন দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ব্যবসায়ী আলামিনের ভাঙারী দোকানে ঢুকে দোকানের মালিকের অনুপস্থিতিতে প্রায় ৫০ হাজার টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। ভুক্তভোগী বাধা দিলে তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করে। এসময় দোকানের মালিকের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে তাকে ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য বলে। অন্যথ্যায় তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তারা চলে যায়।
গোয়েন্দা প্রতিবেদন সুত্র বলছে, ঢাকা ১৬ আসনের সাবেক এমপি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লার কাছের লোক হওয়ার সুবাদে পেটকাটা সুমনসহ তার বাহিনীরা ভয়ংকর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করেও পার পেয়ে গেছে। এলাকায় পেটকাটা সুমন বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। অপরাধ কর্মকান্ড ঘটানোই তার পেশা। আওয়ামিলীগ সরকার পতনের আগে বাউনিয়াবাধ এলাকায় এক আতংকের নাম ছিলো পেটকাটা সুমন বাহিনী। আওয়ামী লীগ সরকার পতন হলেও সুমন তার বাহিনী নিয়ে এলাকায় অপরাধ কর্মকান্ড মাঝেমধ্যে করেই চলে।
অভিযুক্ত সুমন ওরফে পেটকাটা সুমনের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
পল্লবী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, যে পক্ষের ইনজুরি বেশি এবং হাসপাতালের কাগজপত্র আছে সেই পক্ষের মামলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, অন্য যে পক্ষ তাদের তেমন মারাত্মক কোনো ইনজুরি নেই, হাসপাতালের চিকিৎসা সনদ নেই। তারা চাইলে জিডি করতে পারে, আমরা কোর্টে পাঠাবো, কোর্ট যে আদেশ দিবে সেই আদেশের ভিত্তিতে আইনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
