করোনা পরিস্থিতিতে গণমাধ্যম কর্মীদের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন -মিরপুর প্রেসক্লাব এর সভাপতি সৈয়দ শফিকুর রহমান পলাশ।
(বাংলাদেশ একাত্তর.কম) স্টাফ রিপোর্টারঃ রাজু আহমেদ – ১৯৯৫ সনে রেজিষ্ট্রেশনকৃত মিরপুর প্রেসক্লাব। সেই মিরপুর প্রেসক্লাব এর বর্তমান সভাপতি জনাব সৈয়দ শফিকুর রহমান পলাশ এবং সেক্রেটারি জনাব এম জাকির হোসেন। সভাপতির সৎ চিন্তাধারায় রাজধানী মিরপুরে শিয়ালবাড়ী এলাকায় হয়েছে “মিরপুর প্রেসক্লাব”। বহু কাঠখড় পুড়িয়ে অবশেষে একটি স্থায়ী ঠিকানা পেলো মিরপুর প্রেসক্লাব।
মিরপুরে গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য সরকারী ভাবে কোন প্রণোদানা না জুটলেও থেমে নেই গণমাধ্যম কর্মীরা, নিজের জীবন বাজি রেখে রাতদিন সংবাদ সংগ্রহের কাজ করে চলছে তারা। কিন্তু তাদের কথা কেউ ভেবে দেখছেন? না! এপর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকেও কোন সাহায্য সহযোগিতা গণমাধ্যম কর্মীরা পাননি। লক্ষ্য করা যায়, মিরপুর প্রেসক্লাবের এক পাশে ঢাকা ১৬ আসনের (এমপি) আলহাজ্ব ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা ও অন্য পাশে ঢাকা-১৪ আসনের (এমপি) আসলামুল হক। দু’জনই আওয়ামিলীগ সমর্থিত নির্বাচিত রানিং থাকা সত্বেও তাদের পক্ষ থেকেও কোনো সহযোগিতা এখন পর্যন্ত পাননি এ গণমাধ্যম কর্মীরা।
করোনা ভাইরাস মহামারীতে অসহায় গণমাধ্যম কর্মীদের কথা ভেবে তাদের পাশে দাঁড়ালেন মিরপুর প্রেসক্লাব এর সভাপতি সৈয়দ শফিকুর রহমান পলাশ। তিনি নিজ উদ্যোগে করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবে গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য সাহায্যে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন উদার মনে। দিনে দিনে স্থবির হয়ে পড়ছে দেশের জনজীবন। দেশে ইতোমধ্যে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সকল কিছুর প্রতিষ্ঠান, এ সাথে নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান-পাটও বন্ধ। সরকারের পক্ষ থেকে বার বার বলা হচ্ছে আপনারা ঘরে থাকুন এ পরিস্থিতে অসহায় ভাবে দিন পার করছেন দেশের অনেক গণমাধ্যম কর্মীরা। দেশের সরকার সহ রাজনীতিকবিদ এবং সমাজে বিত্তবানরাও অনেকেই এগিয়ে আসছেন খেটে খাওয়া মানুষদের সহযোগিতার জন্য। কিন্তু গণমাধ্যম কর্মীদের দিকে কেউ তাকাননি। মিরপুরে এই প্রথম এবার অসহায় গণমাধ্যম কর্মীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন “মিরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ শফিকুর রহমান পলাশ। তিনি মিরপুরসহ বিভিন্ন জায়গার গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য তিনি খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ দিয়ে সাহায্যে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। অনেক গণমাধ্যম কর্মী রয়েছে যারা কষ্টে থাকলেও লজ্জায় কাউকে বলছেনা। মিরপুর প্রেসক্লাব এর সভাপতি নিজেই তাদের বিকাশ করা মোবাইল নাম্বার জোগাড় করে সাধ্যমত টাকা পাঠাচ্ছেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মিরপুর প্রেসক্লাব এর সভাপতি সৈয়দ শফিকুর রহমান পলাশ বাংলাদেশ একাত্তর.কম কে তিনি বলেন, আমরা যারা সচ্ছল আছি, তারা বাসায় সময় কাটাচ্ছি। সরকারের আদেশ মানছি “ঘরে লক ডাউন” পালন করছি, কিন্ত আমি লক্ষ করছি আমার গণমাধ্যম কর্মী ভাই-বোনরা করোনা ভাইরাস কে পরোয়া না করে দেশের স্বার্থে নিজের জীবন বাজি রেখে রাস্তায় নেমে সংবাদ সংগ্রহ করে যাচ্ছে। একটি বিঙ্গাপনের আশায় এদিক ওদিক ছুটাছুটি করছে কারণ, তাদের বাসায় মজুত করা খাবার নেই। নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করেই মূলত তারা কাজ করে চলেছে।
আরে বলেন, এই অসচ্ছল গণমাধ্যম কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি আরো বলেন, যারা সচ্ছল, তাদের প্রতি অনুরোধ রইল, আপনারাও সামর্থ্য অনুযায়ী অসচ্ছল গণমাধ্যম কর্মীদের পাশে দাঁড়ান।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মিরপুর প্রেসক্লাব এর সেক্রেটারি, জনাব এম জাকির হোসেন বাংলাদেশ একাত্তর.কমকে তিনি বলেন, সভাপতি সাহেব গণমাধ্যম কর্মীদের দিকে যে ভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি অনেক বড় মনের মানুষ এবং তিনি সত্যিকারের একজন সাংবাদিক নেতা। সেক্রেটারি, আরো বলেন, দুঃসময়ে অনেক নেতার মোবাইল বন্ধ থাকে আমার জানা মতে আমাদের সভাপতি তিনিই প্রকৃতপক্ষের একজন সাংবাদিক নেতা যিনি কর্মীদের এই দুঃসময়ে খোজ খবর নিচ্ছেন ও মোবাইলে বিকাশ করে মিরপুর প্রেসক্লাব সদস্য ও তার পরিচিত গণমাধ্যম কর্মীদের টাকা পাঠাচ্ছেন।
অন্যদিকে মিরপুর প্রেসক্লাব এর অনেক সদস্যই মনে মনে ভাবছেন সভাপতির পর হয়তো সেক্রেটারি জনাব এম জাকির হোসেন গণমাধ্যম কর্মীদের পাশে সাহায্য সহযোগিতা করবেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মিরপুর প্রেসক্লাব এর সেক্রেটারি কাছে, তিনি বলেন, আমারও চিন্তা ভাবনা রয়েছে গণমাধ্যমের ভাই বোনদের জন্য।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাস ২০১৯ (কোভিড-১৯)-এর বিশ্বব্যাপী প্রাদুর্ভাব ও দ্রুত বিস্তারের চলমান ঘটনাটিকে নির্দেশ করা হয়েছে। ব্যাধিটি একটি ভাইরাসের কারণে সংঘটিত হয়, যার নাম গুরুতর তীব্র শ্বায়ীযন্ত্রীয় রোগ লক্ষনবসমষ্টী সৃষ্টিকারী করোনা ভাইরাস (২) (SARS-CoV-2) (৫)ব্যাধিটির প্রাদুর্ভাব প্রথমে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে চীনের হুপেই প্রদেশের উহান নগরীতে শনাক্ত করা হয়। ২০২০ সালের ১১ই মার্চ তারিখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ব্যাধিটিকে একটি বৈশ্বিক মহামারী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।