রাজু আহমেদ| প্রকাশ, ১৯ এপ্রিল ২০২৫|
ঢাকা মহানগরের চারটি ইউনিটের আংশিক কমিটি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। ইউনিটগুলো হলো—ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম। ঘোষিত কমিটিতে এবার স্থান পেয়েছেন ঢাকা মহানগর পশ্চিমের নির্ভীক ও মৃত্যুঞ্জয়ী ছাত্রনেতা মো. রবিন খান। রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি ও নৈতিক আদর্শকে সামনে রেখে রবিন খান এখন এক উজ্জ্বল নাম।
যখন ছাত্ররাজনীতির বেশিরভাগ অংশে অনিয়ম, দখলবাজি ও চাঁদাবাজির সংস্কৃতি বিরাজ করছে, তখন রবিন খান এক ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত। তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার নিয়ে, রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি তিনি যুক্ত রয়েছেন বহুবিধ সামাজিক কর্মকাণ্ডে। দিন হোক কিংবা রাত—কোনো ক্লান্তি, কোনো লোভ তাকে থামাতে পারেনি।
রবিন খানের রাজনৈতিক কর্মচিন্তা শুধুই দলীয় স্বার্থে সীমাবদ্ধ নয়। মানবিক দায়বদ্ধতা থেকেই তিনি কাজ করেন পথশিশু, গরিব মানুষ ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে। রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাইদের কবর জিয়ারত এবং তার পরিবারকে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার প্রদান করেছেন তিনি। এসব কর্মকাণ্ডই প্রমাণ করে—রবিন খান রাজনীতিকে দেখেন জনগণের সেবা হিসেবে, না যে ক্ষমতা কিংবা অর্থলোভের হাতিয়ার হিসেবে।
পাইকপাড়া এলাকার বাসিন্দা কুতুব মিয়া বলেন,“রবিন ভাই মিরপুর থেকে বের হলেই মানুষ জড়ো হয়। ছোট-বড় সবাই তার সঙ্গে কথা বলে, হাসে, আড্ডা দেয়। ওর চলাফেরা দেখলে মনে হয় যেন একটা শান্তিপূর্ণ মিছিল চলছে। রবিন ভাই এলাকার সবার প্রিয়।”
রাবেয়া বেগম নামের এক বৃদ্ধা জানান,“রবিন বাবাজি শীতকালে আমাদের বাসায় এসে শীতবস্ত্র দিয়ে যায়। ঈদের সময় বাজার দেয়। কোনো প্রয়োজনে ডাক দিলে সাড়া দেয়। ও কাউন্সিলর না হয়েও অনেক কিছু করছে। আল্লাহ যেন ওকে আরও বড় জায়গায় নিয়ে যায়।”
নিজের বক্তব্যে রবিন খান বলেন,“আমি রাজনীতি করি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে। আমি রাজনীতি করি তারেক রহমানের নেতৃত্বে। মানবসেবা আমার নেশা ও পেশা। অনেকেই আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করে, কিন্তু আমি স্পষ্ট বলতে চাই—আমার পিছনে লেগে নয়, মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দেখান আপনি কী পারেন। গতি কমাবেন না, বরং ভালো কাজের গতি বাড়ান—তাহলেই বাংলাদেশ হবে মানুষের হাসিমাখা এক স্বর্গ।”
আজকের ছাত্ররাজনীতির সংকটে যখন চারপাশে অন্ধকার, তখন রবিন খান যেন এক দীপ্ত আলো, যে দেখিয়ে দিচ্ছে আদর্শিক রাজনীতির পথ। অপরাধমুক্ত, সমাজনির্ভর, মানবিক ছাত্রনেতার প্রতীক হয়ে উঠেছেন তিনি।
এলাকার মানুষ বলছে—প্রতিটি এলাকায় এখন একজন রবিন খানের প্রয়োজন।