বাংলাদেশ একাত্তর.কম / নিজেস্ব প্রতিবেদক: সোমবার’০৯/১১/২০২০ইং প্রকাশিত:
সাংবাদিকদের উপর হামলা, মামলা, নির্যাতন-হয়রানির যেন শেষ নেই। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, নির্যাতন ও হয়রানির ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছেই। অপরাধীর পাশে যদি পুলিশ পাহাড়ায় থাকে সাংবাদিকের ওপর নির্যাতন হবেই। সমাজে ঘটে যাওয়া দৈনন্দিনের খবরাখবর সাংবাদিকরা সত্যতা খুজে সংবাদ লিখলে অপরাধীদের দাবানলে পড়ে অনেক ক্ষেত্রে সাংবাদিক নির্যাতনের হার বেড়েই চলছে এসব ঘটনায় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নাকের ডগায়।
যার জলন্ত প্রমাণ রূপনগর থানাধীন এলাকায় চাঁদাবাজ কাদের পুলিশের মোটরসাইকেল চড়ে এসে তৃতীয় মাত্রার রিপোর্টার সেলিম মোল্লাকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকির “ভিডিও ভাইরাল”। ভিডিও বক্তব্য” আমি কাদির রূপনগর থানার চাঁদাবাজ সবাই জানে” আমি সীল মারা চাঁদাবাজ” যা পারেন করেন ‘আমার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সব পত্রিকায় লিখেন ‘আমি কাদির রূপনগর থানার চাঁদাবাজ। আমি দেখবো কি করে সে এখানে দোকান করে। এমন ভয়ানক ভিডিও বক্তব্য থাকার পরও রূপনগর থানার দায়ীত্বরত কর্মকর্তারা চোখে কাঠের চশমা পড়ে আছেন। চাঁদাবাজ কাদের প্রকাশ্য দিবালোকে ঘুরাঘুরি করছে।
উদ্বেগজনক হলো সাংবাদিকদের ওপর হামলা,মামলা নির্যাতনের বেশিরভাগ ঘটনারই সুষ্ঠু বিচার হচ্ছে না। আর এ কারণেই হয়রানি, নির্যাতন ও হামলার ঘটনা থামছেই না। মহাখালী এলাকায় সাংবাদিক স্বাধীনের উপর বর্বরোচিত হামলা, নির্যাতন ও মামলা হয়রানি চলাবস্থায়ই সেখানে সাংবাদিক বেলায়েত হোসেন আক্রান্ত হয়েছেন। সদালাপী, সজ্জন, সর্বজন প্রিয় বেলায়েত হোসেন পড়েছেন রাজধানীর মহাখালী সাততলা বস্তির মহিলা আওয়ামী লীগের কথিত নেত্রী হেনা পারভীন (৪০) ও তার ভাই রিপন ওরফে বুলেটের (৩০) আগ্রাসী থাবার মুখে। বেলায়েত নিজের বুদ্ধিমত্তায় প্রাণ রক্ষা করতে পারলেও ওই নারী নেত্রীর মামলা ও হয়রানির ধকল থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। মূলত মহাখালীর সাততলা বস্তি ও কড়াইল বস্তির কোটি কোটি টাকার অবৈধ বাণিজ্য পরিচালনাকারীরা বরাবরই সাংবাদিক নির্যাতনের নানা ফন্দি এটে থাকেন। তাদের এ অপকর্মে বনানী থানা পুলিশও ঘনিষ্ঠ সহযোগীর ভূমিকা পালন করে থাকে।
বেলায়েত আক্রান্ত হওয়ার মাত্র দুদিন আগেই রুপনগর থানা এলাকায় ফুটপাত বাজারের চাঁদাবাজ কাদের স্থানীয় সংবাদকর্মি সেলিম মোল্লাহকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। ফুটপাত বাজারের বহু লোকের উপস্থিতিতেই বেপরোয়া কাদের তেড়ে আসে এবং সাংবাদিক সেলিম মোল্লাহকে মারধোর করতে উদ্যত হয়। লোকজনের বাধার কারণে সেলিমকে মারধোর করতে না পারলেও শিগগিরই তার জান কবজ করার হুমকি দিয়েছে। চাঁদাবাজ কাদেরের সাথে সেসময় সিভিল ড্রেসে রূপনগর থানার এক পুলিশ অফিসার ও ছিলো। ফলে থানায় জিডি করেও সেলিম মোল্লা জীবনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পাচ্ছেন না।
এদিকে পূর্ব আক্রোশের জের হিসেবে হামলার শিকার হয়েছেন শেরপুরের সাংবাদিক দুদু মল্লিক। ঝিনাইগাতি এলাকার পাহাড় ধ্বংস করে সরকারি জমি জবরদখলকারী, পরিবেশ বিপন্নতার সঙ্গে জড়িত অবৈধ বালুমহাল, নিষিদ্ধ পাথর উত্তোলনকারী গোষ্ঠী, বনজ সম্পদ নিশ্চিহ্নকারী নানা চক্রের বিরুদ্ধে দুদু মল্লিক নিয়মিত কলমযুদ্ধ চালিয়ে আসছিলেন। ফলে ধনাড্য, প্রভাবশালী সিন্ডিকেটটি বরাবরই তার বিরুদ্ধে নানা চক্রান্ত আঁটে। এর অংশ হিসেবেই দুদু মল্লিক আক্রান্ত হন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
মোহাম্মদপুরের আতংক সেই কালা মনির র্যাবের হাতে আটকের পর ‘পুলিশের কারিশমা’ ভিকটিমদের নামেই হলো উল্টো মামলা” এজাহারভুক্ত আসামি চিনছেন না বাদী। মানিকগঞ্জে থেকেও কালা মনিরের ‘তার চুরির মামলায় আসামি হলেন সাংবাদিক। দৈনিক আমাদের সময়ে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে কালা মনিরের কু-কির্তী, সেই প্রতিবেদক’কেও দেওয়া হচ্ছে দেখে নেওয়ার হুমকি। এভাবে দিনের পর দিন সাংবাদিকদের ওপর হামলা,মিথ্যা মামলা, হয়রানি হলে দেশের আইনশৃংখলা পরিস্থতির ওপর সাধারণ মানুষের ধ্যান-ধারণা কতটুকু বিরুপ প্রভাব ফেলবে তা বলা বাহুল্য মাত্র।