রাজু আহমেদ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ইং বুধবার
সমাজ কল্যান মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে ব্যারেস্টার ফুয়াদ বলেন, শীতবস্ত্র বিতরণের মতো অকার্যকর পদ্ধতি বাদ দিয়ে সুবিধা বঞ্চিত মানুষের মাঝে শীতকালীন আর্থিক প্রণোদনা দিতে যাতে জনসাধারণ তার পরিবারের প্রয়োজন অনুযায়ী শীতবস্ত্র কিনে নিতে পারে।
তিনি বলেন, এমনিতেই সারাবছর আমাদের বায়ু মারাত্মক দূষিত এটা শীতকালে জনগণের চরম দূর্ভোগের কারণ হয়ে দাড়ায়। বিশেষ করে ইটভাটার ধুয়া, নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত সামগ্রীর পরিত্যাক্ত অংশ যা যানবাহনের ধুয়া এবং শীতকালীন কুয়াশার সাথে বাতাসে মিলে বায়ু দূষণের মাত্রা এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছে যা মানুষের স্বাভাবিক শ্বাস প্রশ্বাস গ্রহণের উপযুক্ত থাকেনা। এই পরিস্থিতিতে প্রয়োজন পরিবেশ দূষণের টেকসই সমাধানের।
আজ, বুধবার ১৮ ডিসেম্বর আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শীতকালীন মৌসুমি জনদূর্ভোগ বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি করেন।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ আরও বলেন, আমাদের দেশে শীতকালীন প্রচুর সব্জির উৎপাদন হয়। যা সঠিকভাবে সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যায়। একই টমেটো কখন ১শো টাকা কেজি আবার সেই টমেটোই ৫ টাকায় নেমে আসে। প্রায় প্রতিটি সব্জিরই একই পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেক্ষেত্রে সংরক্ষণ ও বিপননের সুবিধার্থে রেলওয়েষ্টেশান কেন্দ্রীক হিমাগার তৈরি করলে বাজার ব্যবস্থা, সিন্ডিকেট রোধ ও কৃষক পর্যায়ে সঠিক মূল্য পাওয়া নিশ্চিত করা সম্ভব।
তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই বিভিন্ন মফস্বল এলাকা পরিদর্শনের সুবাদে দেখলাম গ্রামাঞ্চলে এই শীতকালেও বিদ্যুতের ব্যাপক ঘাটতি। তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা গ্রামের মানুষকে গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ দিতে পারেন আবার শীতেও তাদের ভোগান্তিতে রাখবেন সেটা হতে পারেনা। তিনি অবিলম্বে গ্রামাঞ্চলের মানুষের ভোগান্তি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
কুয়াশার কারনে ব্যাপক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে, এব্যাপারে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি বাংলার হাজার বছরের সাংস্কৃতিক উৎসব শীতকালীন পিঠা পায়েশের আয়োজন প্রতিটি শহর, বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল কলেজ সহ সর্বত্র আয়োজন করতে হবে যেন এই সংস্কৃতি আমরা টিকিয়ে রাখতে পারি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, এবি পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা।