রাজনৈতিক দলগুলির রেজিস্ট্রেশন বাতিলের ক্ষমতা চায় জাতীয় নির্বাচন কমিশন৷ এই বিশেষ ক্ষমতা চেয়ে শনিবার সুপ্রিম কোর্টে এফিডেভিট দাখিল করেছে কমিশন৷ জানা গিয়েছে, সোমবার শীর্ষ আদালত কমিশনের বক্তব্য শুনবে৷
এক পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ আদালতে এফিডেভিড ফাইল করেছেন আইনজীবী অমিত শর্মা৷ ওই পিটিশনে যুক্তি দেখিয়ে বলা হয়েছে, সাজাপ্রাপ্ত আসামী যদি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ হারান তাহলে সেই সাজাপ্রাপ্ত আসামীর তৈরি দল কেন ভোটে লড়াই করার অধিকার পাবে? দীর্ঘ দুই দশক ধরে কমিশনও কেন্দ্রের কাছে আইন সংশোধনের দাবি জানিয়ে এসেছে৷
১৯৯৮ সালে তৎকালীন আইনমন্ত্রীকে চিঠি লিখে রাজনৈতিক দলগুলির রেজিস্ট্রেশন বাতিলের ক্ষমতা চেয়েছিল কমিশন৷ চিঠিতে বলা হয়েছিল অনেক রাজনৈতিক দল নাম নথিভুক্ত করে রাখে কিন্তু নির্বাচনে লড়াই করে না৷ কিন্তু কেন্দ্র সেই চিঠি নিয়ে কোন উচ্চবাচ্য করেনি৷ শনিবার সুপ্রিম কোর্টের এফিডেভিডে সেই কথাও উল্লেখ করেছে কমিশন৷
এর আগে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় একাধিক সংস্কার করেছে কমিশন৷ কমিশনের চেষ্টাতেই সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা নির্বাচনে লড়াই করার অধিকার হারিয়েছে৷ তার জেরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি প্রার্থী বাছাইয়ে অনেক যত্নশীল হয়েছে৷ সংস্কার জারি রাখতে কমিশন এখন রাজনৈতিক দলের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের ক্ষমতা চায়৷ বর্তমান আইন অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলিকে আগে কমিশনের খাতায় নাম, প্রতীক ইত্যাদি নথিভুক্ত করাতে হয়৷ ছাড়পত্র পাওয়ার পর সেই দল রাজনৈতিক দলের তকমা পায়৷
সুত্রঃ কোলকাতা ২৪*7