বাংলাদেশ একাত্তর|ডেস্ক রিপোর্ট| ০২ জুন ২০২৫
মিরপুর-১২ থেকে শ্যামলী যাবার জন্য রাইড শেয়ারের মোটরসাইকেল ভাড়া নিয়েছিলেন এক কর্মজীবী নারী। চালকের দেওয়া হেলমেট মাথায় পরার সাথে সাথেই ঘটে ষড়যন্ত্রের সূচনা। অকস্মাৎ তাঁর চিন্তা-চেতনার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায়। শ্যামলী পৌঁছানোর পরিবর্তে চালক তাঁকে অন্যত্র নিয়ে যেতে শুরু করে, অথচ অদ্ভুত কারণে তিনি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারেন না।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা পরিবহণ চলতে থাকলে নির্জন এক স্থানে এসে বাইক থামে—এবারই সত্যিকার বিপদের মুখোমুখি হন তিনি। প্রথমে নৃশংসভাবে ধর্ষণের শিকার হন, এরপর অপরাধী চালক নিজের ইচ্ছেমত ভিডিও ধারণ করে এবং সব টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়ে দ্রুত সটকে পড়েন। তিনি ভেবেছিলেন, অন্ধকারে হারিয়ে গেছেন। কিন্তু, জনতার ভিড়ে তাঁর আর খোঁজ পাওয়া যাবে না!
কিন্তু ফলাফল বিপরীত। ৯৯৯ এর কলের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার মূল হোতা গ্রেফতার হয়। তবে বিস্তারিত কাহিনী ও তথ্য নিশ্চিত হতে হবে। আজকের ঘটনা সবার জন্য, মো. আনোয়ার হোসেন শামীম বিসিএস (পুলিশ) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল), নরসিংদী-তিনি বলেছেন, বিশেষ করে আমাদের মা-বোনদের জন্য—পুলিশের এই আবেদন: রাইড শেয়ারিংয়ের যাত্রী হিসেবে আপনারা দয়া করে সতর্ক থাকুন। রাজধানীর নানা মোড়ে কতজন সাইকোপ্যাথিক অপরাধী রাইড চালকের বেশে লুকিয়ে আছে, তা জানার উপায় নেই। সবাই সতর্ক থাকুন।