বাংলাদেশ একাত্তর.কম/ শফিকুর রহমান:
রাজধানীর মিরপুর রুপনগর এলাকায় দুয়ারীপাড়া মোড়ে বাসস্ট্যান্ড ও সড়কে কাঁচা বাজার গড়ে তোলা হয়েছে। অন্যদিকে, ফুটপাত দখল করে বাসের টিকিট কাউন্টার বসানো ও মোড়ে রাখা হয় একাধিক দুর পাল্লার কোচ ও সিটিং সার্ভিস। সড়কের দুই পাশেই রয়েছে শতশত দোকানপাটও। এতে ওই সড়কে প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। সড়ক ও ফুটপাত দখলে সাধারণ জনগন পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত রাস্তা পারাপার হচ্ছে তাদের।
রূপনগর থানা প্রশাসনের নজরদারির অভাবে দিনে দিনে বেপরোয়া হয়ে উঠছে চাঁদাবাজরা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রভাবশালীদের দখলদারিত্বের কারণে তাদের এ দুর্দশা চলছে ১৫ বছর ধরে দেখার কেউ নেই।
আরও দেখা গেছে, দুয়ারীপাড়া মোড় থেকে শিয়াল বাড়ী কবরস্থান আসা যাওয়ার দু’পাশেই সড়ক ও ফুটপাতেে বাজার দেখে মনে হবে সিটি কর্পোরেশন অনুমোদিত এ বাজার। রুপনগর থানা এলাকার অলিগলি ফুটপাত ও সড়কের বিভিন্ন স্থানে দোকান। মিরপুর -৭, মিল্কভিটা চৌরাস্তা সড়ক জুড়ে বাজার। রুপনগর থানা এলাকায় সব মিলিয়ে প্রায়ই সাড়ে তিন হাজার দোকান রয়েছে। এ সমস্ত সড়ক ও ফুটপাতের দোকান ও বাজার থেকে রুপনগর থানার লাইন ম্যান কাদের চাঁদা তুলে। প্রকাশ্যে প্রশাসনের নামে চাঁদাবাজী করলেও প্রশাসন কেন নিরব এটাই সাধারণ মানুষ জানতে চায়।
অভিযোগ উঠে, স্থানীয় একাধিক প্রভাবশালীর নিয়ন্ত্রণে সড়কে বাজার, তাদের দয়ায় বস্তিতে চলে অবৈধ গ্যাস, বিদ্যুৎ পানির সংযোগ। বিনিময়ে গ্রাহকদের গুনতে হয় মাসে হাজার হাজার টাকা। সরকারের রাজস্ব ফাকি দিয়ে গ্রাহকের সব টাকাই লতিফ মোল্লার পকেটে। লতিফ মোল্লার দলীয় কার্যালয়ের পিছনে নামায় ঝিল ভরাট করে সেখানে শতশত ঘর বানিয়ে হাজার হাজার ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায় অবৈধভাবে চার্জ দিয়ে মাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে দিচ্ছে।
নাম প্রকাশেঅনিচ্ছুক একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, স্থানীয় এমপি ক্ষমতায় না থাকলে এরা ঠিক মত খাবার পেতনা। এদের ভাগ্যের চাকা আলাউদ্দিনের চেরাগের মতো খুলে গেছে। চাঁদাবাজরা সবাই এখন কোটিপতি, ফ্ল্যাট, প্লট, বহুতল ভবনের মালিক। তিনি আরো বলেন, দুয়ারীপাড়ায় যত বস্তি ঘর ছিলো, আর এখনও যা আছে অধিকাংশে অবৈধ গ্যাস লাইন, বিদ্যুৎ লাইন, পানির লাইন সংযোগ দিয়ে ১৮ বছরে সরকারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করছে। এরা তো এখনকার দিনে বড় রাজাকার।
দূয়ারীপাড়ার বাসিন্দা, রাবেয়া বেগম বলেন, আশে পাশের প্রায়ই সড়ক গুলোতে গাদা গাদা ব্যাটারি চালিতো অটোরিক্সা রাখা হয়। ওই রিকশায় বসে গাজার বিড়ি জ্বালিয়ে মনের সুখে টানতে থাকে দুর্গন্ধেে মুখে কাপুড় দিয়ে চলতে হয়। দুয়ারীপাড়ার বাসিসিন্দা শিউলী বলেন, বখাটেদের কারনে ঘর থেকে বের হতে পারিনা, স্কুলে পড়ুয়া ছেলে-মেয়েদের নিয়েও বিপাকে।
টিআই মো. সোহেল বলেন, আমি মাত্র বদলি হয়ে এসেছি। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব। এ বিষয়ে জানতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তাইজুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পীর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
পরে এবিষয়ে, ৬ নম্বর ওয়ার্ড (সাবেক) কাউন্সিলর হাজি রজ্জব হোসেন বলেন, আমার সময়ে দুয়ারীপাড়ায় অনেকবার উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। তাছাড়া আমি তো এখন কাউন্সিলর নই তাই আমি অপারগতা প্রকাশ করছি।