মিরপুরে আ.লীগের ২১টি-ইউনিটে পদ কিনে নেতা হচ্ছে বিএনপি-জামাত। দুর্দিনের আওয়ামিলীগ নেতাকর্মীরা হতাশ! শুধু বিএনপি-জামাত নয় দলের বিতর্কিতরাও স্থান পাবেনা আওয়ামীলীগের কমিটিতে। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখবেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদকঃ
বাংলাদেশ একাত্তর.কম/নিজেস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপির পক্ষে রাজপথ কাঁপানো একাধিক নেতাকর্মীরা আবার ৭নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত মোট ২১টি ইউনিট আওয়ামীলীগের কমিটিতে অর্থের বিনিময়ে পদপদবী কিনে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত হচ্ছে। তাতে বর্তমান সরকার বাংলাদেশ আওয়ামিলীগের মর্যাদা ক্ষুন্ন হচ্ছে। সড়ক ফুটপাত, সরকারি বেসরকারি জমি দখল বানিজ্য। স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসার নামে অর্থ-হাতানো, বিচার শালিসের নামে অর্থদায়। বাড়ী নির্মানে চাদাবাজি,বস্তিতে ক্লাব ঘর করে মাদক বানিজ্য, মাদকে আসক্ত ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। এমন অসংখ্য বিতর্কিতরা মোটা অংকের টাকা দিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের দলে ভিড়ে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে বলে অভিযোগ উঠছে।,
জানাগেছে ঢাকা মহানগর উত্তর ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামিলীগের ইউনিট কমিটিতে এই সব হাইব্রিড বিতর্কদের অর্থের বিনিময়ে ইউনিট কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করা হচ্ছে। যে কারনে আওয়ামিলীগ বনাম আওয়ামিলীগের নেতাকর্মীদের ভিতর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময়ে মারামারি কাটাকাটি খুনের মত ঘটনা ঘটতেছে।,
আওয়ামিলীগের অবহেলিত নেতাকর্মীর দাবী করে বলেন, যারা ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামিলীগে যোগদান করেছে এর আগে তারা কোন দল করত: যারা ১৯৯৬ সালের আগ থেকে এখন পর্যন্ত আওয়ামিলীগ রাজনীতির সাথে কাজ করে যাচ্ছে তারা এখন ওয়ার্ড বা ইউনিটের কোন পর্যায়ে আছে।,
৭নং ওয়ার্ড আওয়ামিলীগ কর্মি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, সে দিনের কথা কাউন্সিলর তোফাজ্জল হোসেন টেনু বিএনপির গেঞ্জি পড়ে মিরপুরে আসছিলো। ঢাকা-১৪ আসনে মরহুম আসলামুল হক ২০০৮ সালে এমপি হলে টেনু তখন আওয়ামীলীগ হয়। টেনুর স্ত্রী এখনো জামাতের সক্রিয় নেত্রী। টেনু কাউন্সিলর হওয়ার পরেই ৭নং ওয়ার্ডের ২১ টি ইউনিটে বিএনপি জামাতের লোকজন বেশির অংশ আওয়ামিলীগের নেতা হচ্ছে। এ সকল বিএনপি-জামাতের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ নিয়ে ৭নং ওয়ার্ডের ২১টি ইউনিট আওয়ামীলীগে বিভিন্ন গুরুত্ব পদে যোগদান করানো হচ্ছে বলেও আওয়ামিলীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন।,
এবিষয়ে, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামিলীগের সভাপতি আব্দুল হাই হারুন বলেন কতজন কত কথা বলবে, সেদিক নজর দিলে কি চলবে? যারা পদ পায়নি তারা তো অভিযোগ করতেই পারে।
বিএনপির নেতাদের আওয়ামিলীগ ইউনিট কমিটিতে পদ দেওয়া ও বানিজ্য চলছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামিলীগ এর সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি বলেন, ইউনিট পর্যায়ে খোচ খবর রাখে ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দরা, আমাদের কড়া নির্দেশ রয়েছে শুধু জামাত বিএনপি নয় আওয়ামীলীগের কোনো বিতর্কিত লোকও কমিটিতে স্থান পাবেনা। আমি ৪নং ইউনিটের বিষয়ে এখনই খোচ নিচ্ছি।,
ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে রূপনগর থানা আওয়ামিলীগের সহ-সভাপতি (৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর) তোফাজ্জল হোসেন টেনু বলেন, ৩ ও ৪ নং ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিএনপির লোক “এটা সত্য! কমিটির নামে অর্থ বানিজ্যের বিষয়ে বলেন, এটা আমার জানা নেই আমি শুনলাম।,
এক প্রশ্নে: কাউন্সিলর বলেন, আমার স্ত্রী গৃহিণী, সে কোন দলের রাজনীতির সাথে জড়িত নয়, আমার বাবা ছিলো চেয়ারম্যান, আমি অনেক কষ্ট করে আজ পযন্ত এসেছি।,
ইউনিট আওয়ামীলীগের অবহেলিত নেতাকর্মীদের দাবি, যাচাই-বাছাই করে যারা ২০০৮ সালে নয় বিএনপির আমলে কারা প্রকৃত আওয়ামীলীগের সাথে কাজ করেছে। দলের বিভিন্ন মিছিল মিটিং আন্দোলন সংগ্রামে সামিল হয়েছে তাদের মুল্যয়ন করা হোক।,
সুত্র বলছে ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামিলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং কাউন্সিলর তোফাজ্জল হোসেন টেনু ২১ লাখ টাকার বিনিময়ে ৭নং ওয়ার্ডে মোট ২১ টি ইউনিটে আওয়ামীলীগের কমিটিতে তাদের পছন্দের বিএনপি জামাতের নেতাকর্মীদের জায়গা দিচ্ছে।,
দুর্দিনের আওয়ামিলীগ কর্মীরা বলছেন নগরের নেতৃবৃন্দরা খোচ খবর নিয়ে যেন ইউনিট কমিটির অনুমোদন দেয়। থানা ও ওয়ার্ড নেতাদের স্বার্থে কমিটি অনুমোদন দেওয়া হলে আগামীতে এলাকায় প্রকৃত আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের তারা পিষে মারবে। এরা দিনে আওয়ামিলীগ করবে আর রাতে আওয়ামীলীগ সরকার পতনে বিএনপি জামাতের সাথে গভির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হবে। কোনদিন বিএনপি ক্ষমতায় এলে তারা আবার বিএনপির লোক হবে। আমাদের এলাকা ছাড়া সহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করবে এমনকি জানেও মেরে ফেলতে পারে।
