অনলাইন ডেস্ক:
অনিয়মের অভিযোগে বাতিল করা হয়েছে রাজধানীর ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়া । একইসঙ্গে এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ৫ জনকে ভবিষ্যতে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটিতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এই আদেশ জারি করে।
মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত ওই আদেশে বলা হয়, গত ২৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়া যথাযথ না হওয়ায় এ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে অধিকতর বিশ্বাসযোগ্য ও বিতর্কমুক্ত করে অধ্যক্ষ নিয়োগের লক্ষ্যে গভর্নিং বডিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হলো। এছাড়াও ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগ বিষয়ে ইতিপূর্বে গঠিত পাঁচ সদস্যের নিয়োগ কমিটির সদস্যদের ভবিষ্যতে এই প্রতিষ্ঠানে মতো কোনো স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ নিয়োগ কমিটিতে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
এর আগে ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষায় পাস করেননি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া কোনো প্রার্থীই। মোট ৩০ নম্বরের পরীক্ষায় পাস নম্বর ১০ হলেও এক প্রার্থী সর্বোচ্চ ৭ নম্বর পেয়েছেন। এরপরও রুমানা শাহীন শেফা নামে এক প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করে কমিটি। তিনি নিয়োগ পরীক্ষায় ৩০ এ সাড়ে ৩ নম্বর পেয়েছিলেন।
জানা যায়, সুপারিশকৃত প্রার্থী ও মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুমানা শাহীন শেফা দুদকের বিতর্কিত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের স্ত্রী। একই সঙ্গে এই নিয়োগে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি তাকে যোগদানপত্র দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু করে প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডি। এ সময় ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অভিভাবকরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ পেয়ে তা তদন্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয় যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজিকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি ও মাউশি পৃথক কমিটি গঠন করে। এই দুই কমিটির সুপারিশের উপর ভিত্তি করেই এই আদেশ জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। জারিকৃত আদেশটি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবীর চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের আদেশটি অবহিত করা হয়েছে।