শুক্রবার , ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আওয়ামীলীগ
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. তথ্য-প্রযুক্তি
  8. ধর্ম
  9. বি এন পি
  10. বিনোদন
  11. বিশেষ সংবাদ
  12. রাজধানী
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. শিক্ষা

ইউএনও ওয়াহিদার ওপর হামলাকারী প্রধান আসামি আটক:

প্রতিবেদক
বাংলাদেশ একাত্তর
সেপ্টেম্বর ৪, ২০২০ ৮:৩৮ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশ একাত্তর.কম/ কামরুল ইসলাম:

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখকে হাতুড়ি দিয়ে পেটানো ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনায় প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথ টিম।
শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোররাত ৪টা ৫০ মিনিটে হিলির কালিগঞ্জ এলাকা থেকে আসাদুল হক (৩৫) কে গ্রেফতার করা হয়। সে ঘোড়াঘাট উপজেলার ওসমানপুরের আমজাদ হোসেনের ছেলে।
হাকিমপুর থানার ওসি ওয়াহিদ ফেরদৌস জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাকিমপুর, বিরামপুর ও ঘোড়াঘাট থানা এবং র‌্যাব রংপুরের একটি টিম যৌথভাবে হিলির কালিগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসাদুল হক কে গ্রেফতার করে। এ ঘটনার প্রধান আসামি ইউএনওর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেছে। তাকে রংপুরে র‌্যাব কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলাম জানিয়েছেন র‌্যাব ও পুলিশের একই টিম জাহাঙ্গীর নামের আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে। সেও ওই ঘটনার সাথে জড়িত বলে জানিয়েছেন।
গত বুধবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনও’র সরকারি বাসভবনে ঢুকে হামলা করে দুর্বৃত্তরা। দারোয়ানকে হাত মুখ বেঁধে পরে বাসার পেছনে গিয়ে মই দিয়ে উঠে বাসার ভিতরে প্রবেশ করে হামলাকারীরা। ভেতরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ইউএনও ওয়াহিদাকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় মেয়েকে বাঁচাতে এলে বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে (৭০) তাকেও রক্তাক্ত জখম করে দুর্বৃত্তরা। তাদের চিৎকার চেচামেচিতে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ওয়াহিদা খানম বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন। ইতোমধ্যে তার অস্ত্রোপচার শেষ হয়েছে। অস্ত্রোপচার সফল হলেও ইউএনও ওয়াহিদা আশঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন চিকিসকরা। বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ডা. জাহিদুর রহমানের নেতৃত্বে এ অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। রাত সোয়া নয়টা থেকে শুরু হয়ে রাত সোয়া ১১টা পর্যন্ত চলে এই অস্ত্রোপচার।
ডা. জাহিদুর রহমান বলেন, যখন প্রথম তাকে নিয়ে আসা হয় তখন ব্যান্ডেজ করা ছিল, অস্ত্রোপচার কক্ষে নেওয়ার পর দেখা যায় মাথায় মোট নয়টা আঘাতের চিহ্ন। একটা খুব বড়, যার ভেতর দিয়ে হাড় ভেঙে ভেতরে ঢুকে গিয়েছিল। ভেতরে ঢুকে যাওয়া হাড় বের করা হয়েছে, রক্তরক্ষণ বন্ধ করা হয়েছে। অন্য আঘাতগুলোও সব রিপেয়ার করা হয়েছে। তবে এটা মাথার ইনজুরি, ব্রেইনের ভেতরে রক্তক্ষরণের ব্যাপার থাকে। তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন কিনা এখনই বলা সম্ভব নয়।

সর্বশেষ - আওয়ামীলীগ