মঙ্গলবার , ৫ এপ্রিল ২০২২ | ২৩শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আওয়ামীলীগ
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. তথ্য-প্রযুক্তি
  8. ধর্ম
  9. বি এন পি
  10. বিনোদন
  11. বিশেষ সংবাদ
  12. রাজধানী
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. শিক্ষা

কুখ্যাত ব্যাংক ডাকাত চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার

প্রতিবেদক
বাংলাদেশ একাত্তর
এপ্রিল ৫, ২০২২ ৩:১০ অপরাহ্ণ

কুখ্যাত ব্যাংক ডাকাত চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার; উদ্ধার বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ-নগত টাকা।,

বাংলাদেশ একাত্তর.কম/নিজেস্ব প্রতিবেদক;

প্রায় এক যুগ যাবত বিভিন্ন ছদ্মবেশে ব্যাংক ডাকাতি ও স্বর্ণালংকার লুটকারী চক্রের মূলহোতা রাজা মিয়া’সহ ৩ জনকে মুন্সিগঞ্জ ও বরিশাল হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ লুটকৃত স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ।

রাজধানীর কচুক্ষেতের রজনীগন্ধা টাওয়ারের নিচতলায় রাঙাপরী জুয়েলার্স নামে একটি স্বর্ণের দোকানে প্রায় ৩০০ ভরি স্বর্ণ লুটের একটি দুর্ধর্ষ ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি ঘটে গত ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখ রাতে।

এ ঘটনায় রাঙাপরী জুয়েলার্সের মালিক আবুল কালাম ভূঁইয়া ভাষানটেক থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

যার মামলা নং ০৭, তারিখ ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২। ধারা ১৮৬০ সালের পেনাল কোড ৪৬১/৩৮০। উক্ত ঘটনাটি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াসহ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

পরবর্তীতে র‌্যাব ঘটনার বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত ও সিসিটিভি ফুটেজসহ বিভিন্ন ঘটে যাওয়া লুটের ঘটনা ইত্যাদি বিশ্লেষণ করে আসামী সনাক্তের কাজ এবং গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রাখে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ৪ এপ্রিল ২০২২ তারিখ র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-৪ এর দুটি বিশেষ আভিযানিক দল মুন্সিগঞ্জ ও বরিশালে অভিযান পরিচালনা করে স্বর্ণালংকার লুট চক্রের মূলহোতা ১। মোঃ কাউসার হোসেন@ বাচ্চু মাস্টার (৪২), পিতাঃ শেখ হযরত আলী, বাকেরগঞ্জ, বরিশাল ও তার সহযোগী, ২। মোঃ রাজা মিয়া (৫৪), পিতাঃ ভোলা মিয়া, শ্রীনগর, মুন্সিগঞ্জ এবং ৩। মোঃ মাসুদ খান (৪২), পিতাঃ সুলতান উদ্দিন খান, রাজাপুর, ঝালকাঠি’দেরকে গ্রেফতার করা হয়। এসয়ম উদ্ধার করা হয় লুটকৃত ১৯.৭০ গ্রাম স্বর্ণ ও নগদ ৩,২৯,১৮০ টাকা।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা বর্ণিত স্বর্ণের দোকানে ডাকাতিতে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।

একই পদ্ধতিতে তারা ২০১৪ সালে ব্রাক ব্যাংক এর জয়পুরহাট শাখার ভল্ট ভেঙ্গে ১ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা লুট করে। এই ঘটনায় তারা ব্যাংকের পাশের একটি ঘর একটি এনজিও’র নামে মিথ্যা পরিচয়ে ভাড়া নেয়। ভল্ট লুটের ১ সপ্তাহ আগে থেকে স্ক্রু ড্রাইভার ও শাবল দিয়ে দেয়াল কেটে ব্যাংকের ভল্টে ডুকে ঐ টাকা লুট করে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে র‌্যাবের অভিযানে রাজা মিয়াসহ ৭ জন গ্রেফতার হয়। ঐ ঘটনায় রাজা মিয়া ৩ বছর কারাভোগ করে। একইভাবে তারা ২০১৮ সালে সিদ্ধিরগঞ্জে দুইটি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি করে ৪৫৫ ভরি স্বর্ণ ও ০২ লক্ষ টাকা লুট করে। পরবর্তীতে র‌্যাবের অভিযানে তারা ৩ জন গ্রেফতার হয় এবং কারাভোগ করে।

গ্রেফতারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানায় যে, তারা ২০২০ সালে ডেমরার হাজী হোসেন প্লাজায় স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি করে ২৩০ ভরি স্বর্ণ ও ১.৫ লক্ষ টাকা লুট করে।

গ্রেফতারকৃতরা জানায় যে, ঘটনার দিন সকালেই তারা লুটকৃত স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা, নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে তাদের গ্রামের বাড়ি চলে যায়। এ চক্রের মূলহোতা গ্রেফতারকৃত রাজা মিয়া একজন দক্ষ তালা ভাঙ্গার মেকার এবং অন্যান্যরা বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শী। গ্রেফতারকৃতরা খুব সাধারণ বেশভূষা ধারণ করে চলাফেরা করত যেন কেউ তাদেরকে কোনো প্রকার সন্দেহ না করে। এ চক্রের ৮/১০ জন সদস্য রয়েছে।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

সর্বশেষ - আইন ও আদালত

আপনার জন্য নির্বাচিত