পদ্মা সেতুতে আরেকটি স্প্যান বসানো হবে আগামী রোববার। সেতুর জাজিরা প্রান্তে ৩৮ ও ৩৯ নম্বর পিয়ারের (পিলার) ওপর এ স্প্যানটি স্থাপন করা হবে। ইতিমধ্যে ‘৭বি’ নম্বরের এ স্প্যানটি মাওয়া প্রান্তের কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে জাজিরা প্রান্তে নেওয়া হয়েছে। তবে রোববার কোনো কারণে বসানো সম্ভব না হলে সোমবার তা স্থাপন করা হবে বলে সংশ্নিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর পদ্মা সেতুতে প্রথম স্প্যান স্থাপন করা হয়। এর মাধ্যমে সেতু দৃশ্যমান হয়েছে। ২০১৫ সালের ৭ ডিসেম্বর পদ্মা সেতুর মূল অবকাঠামো নির্মাণ শুরু হয়। প্রকল্প পরিকল্পনা অনুযায়ী চলতি বছরের ২৫ নভেম্বর নির্মাণ কাজ শেষ হবে। সেতু বিভাগের তথ্যানুযায়ী, এখন পর্যন্ত মূল সেতুর কাজ শেষ হয়েছে ৫৩ ভাগ। সার্বিকভাবে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে ৫০ ভাগ।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুতে পিলার থাকবে ৪২টি। একটি পিলার থেকে অপরটির দূরত্ব ১৫০ মিটার। ৪২ পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান সবে। ৪০ পিলার নদীতে নির্মিত হবে। দুটি থাকবে নদীর তীরে। ২৮টি পিলারের নির্মাণ কাজ চলছে। নকশা জটিলতার কারণে ১৪টির কাজ এখনও শুরু হয়নি। ইতিমধ্যে ১১টি স্প্যান লৌহজংয়ের কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে রাখা হয়েছে। সাতটি স্প্যান সংযুক্ত শেষে রঙের কাজ চলছে। আরও সাতটি স্প্যান চীন থেকে বাংলাদেশে আসার অপেক্ষায় রয়েছে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম সমকালকে জানান, রোববার দ্বিতীয় স্প্যানটি স্থাপন করা হতে পারে। কোনো কারণে সম্ভব না হলেও সোমবার স্থাপন করা হবে।
মূল সেতুর প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, দ্বিতীয় স্প্যানটি স্থাপনের নির্ধারিত দিন ছিল ১৫ জানুয়ারি। ৯ জানুয়ারি স্প্যানটি মাওয়া থেকে ৩৭ ও ৩৮ নম্বরের পিয়ারের কাছে নেওয়ার কাজ শুরু হয়। কিন্তু নাব্য সংকটের কারণে তা পৌঁছানো যায়নি। পরে ৩ হাজার ৬০০ টন ক্ষমতাসম্পন্ন ক্রেন দিয়ে সেটি টেনে নিয়ে যাওয়া হয়।
তৃতীয় স্প্যান স্থাপন করা হবে ৩৯ ও ৪০ নম্বর পিয়ারের ওপর। এটা ৩৮-৩৯ এবং ৩৭-৩৮ নম্বর পিয়ারের ওপর বসানো স্প্যানের সঙ্গে যুক্ত হবে। ইতিমধ্যে ৩৯ ও ৪০ নম্বর পিয়ারের (খুঁটি) নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। স্প্যান বসাতে পিয়ার ক্যাপের ওপরে ‘গ্যারোটিং’ করা হচ্ছে।
প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, সেতুর ২৬৮টি পাইলের মধ্যে ১৯৩টির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে ১৪টি পিলারের নকশাজটিলতা নিরসনে পদ্মা সেতুর বিশেষজ্ঞ প্যানেলের প্রধান অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ দল আগামী ২৫ থেকে ২৭ জানুয়ারি প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করবেন।
সুত্র সমকাল