রাজু আহমেদ: ২ জানুয়ারী ২০২৫।
ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়ন সত্ত্বেও বিএনপিকে টিকিয়ে রাখতে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর অগ্রণী ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। দমন-নিপীড়ন, মামলার পাহাড় এবং শারীরিক অত্যাচারের মুখেও তারা সাংগঠনিক শক্তি ধরে রেখেছিলেন। নেতাকর্মীদের পাশে থেকে তাদের পুনর্গঠনের জন্য কাজ করেছেন।
ফ্যাসিস্ট শাসন পালিয়ে যাওয়ার পর আল্লাহ বিএনপিকে দেশ পরিচালনা ও জনগণের সেবায় নতুন দায়িত্ব দিয়েছেন। তবে জনগণের প্রত্যাশা, বিএনপি তাদের নেতৃত্বে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন আয়োজন করবে, যেখানে জনগণের জানমালের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে।
তবে, সাম্প্রতিক সময়ে সারা দেশে বিএনপি, যুবদল, এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের কিছু নেতা-কর্মীদের সড়ক ও ফুটপাত দখল বানিজ্য এবং সাধারণ মানুষের ওপর সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সাধারণ মানুষ আশঙ্কা করছেন, এই দখল-বাণিজ্য এবং অরাজকতা অব্যাহত থাকলে বিএনপির প্রতি তাদের আস্থা কমে যেতে পারে।
সাধারণ মানুষ মনে করে, বিএনপি যদি সত্যিই জনগণের সেবা করতে চায়, তাহলে প্রথমেই দলীয় শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে হবে। দখল-বাণিজ্য, হত্যা, এবং সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বন্ধ করার জন্য দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
বিএনপির দায়িত্বশীল নেতা-কর্মীদের প্রতি জনগণের প্রত্যাশা, তারা দেশের সেবা ও জনগণের কল্যাণে কাজ করবেন এবং দুর্নীতিমুক্ত একটি বাংলাদেশ গড়তে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন। এখন দেখার বিষয়, দলটি এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে জনগণের আস্থা কতটা ধরে রাখতে পারে।