রাজু আহমেদ: ৩ জানুয়ারি ২০২৫ইং।
দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে রাজনীতি বন্ধ করার দাবিতে মুখর সাধারণ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। তারা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনীতি চলতে থাকলে শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট হবে, এবং ছাত্রলীগের বর্তমান কার্যকলাপ ভবিষ্যতে ছাত্রদলের মাধ্যমেও পুনরাবৃত্তি হতে পারে। এ অবস্থায়, শিক্ষার পরিবেশ রক্ষা এবং শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে সবধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ করা অপরিহার্য।
শিক্ষার্থীরা জানান, তারা রাজনীতি মুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চান, যেখানে তাদের একমাত্র পরিচয় হবে “শিক্ষার্থী”। তাদের মতে, হলে বা ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরে থেকে একসঙ্গে পড়াশোনা এবং সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করলে কোনো সংঘাত হবে না।
এক শিক্ষার্থীর ভাষ্য, “আমাদের মা-বাবা গ্রামে কঠোর পরিশ্রম করে যে অর্থ জোগাড় করেন, তা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য। কিন্তু যদি আমরা রাজনৈতিক বলির পাঠা হয়ে যাই, তাহলে তাদের স্বপ্ন ভেঙে যায়।”
তারা আরও বলেন, প্রতি হলের প্রক্টরকে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসুলভ ভূমিকা পালন করতে হবে। হলে রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরে সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখতে প্রক্টরের নির্দেশই চূড়ান্ত হতে হবে।
অভিভাবকরাও এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন, “আমরা সন্তানদের ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য পাঠাই, তাদের রাজনৈতিক সংঘর্ষে প্রাণ দিতে নয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনীতি বন্ধ করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে বর্তমান উপদেষ্টা সরকারের কাছে আকুল আবেদন জানাই।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনীতি বন্ধ করা হলে শিক্ষার্থীরা সুশিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে একটি উন্নত ও সুশৃঙ্খল বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হবে। তাদের মতে, সরকার যদি দ্রুত পদক্ষেপ নেয়, তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহিংসতা ও বিভাজন কমে আসবে।
এই দাবির প্রেক্ষিতে, বর্তমান উপদেষ্টা সরকার কী পদক্ষেপ নেয়, তা এখন সময়ের অপেক্ষা।