রাজু আহমেদ | ঢাকা, ৫ মে ২০২৫
মিরপুরের দারুসসালাম থানার গাবতলি মোহাম্মদপুর সড়ক বেড়িবাঁধে আজ রাতে ভয়াবহ এক ঘটনা ঘটে, যেখানে একটি কিশোর গ্যাং প্রকাশ্যে এক নারীর উপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত আটটার দিকে সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা বালুর গদি দখল নিতে এসে ওই নারীর ওপর হামলা করে এবং তার মোবাইল ফোন ছিনতাই করে।
বালুর গদির মালিক জাহিদ, যিনি গদি ভাড়া দিয়েছেন ইউসুফ নামের এক ব্যক্তির কাছে, অভিযোগ করেছেন যে সন্ত্রাসী আসিফ ও রুবেল প্রায়ই চাঁদা দাবি করে এবং না পেয়ে তারা ইউসুফকে হুমকি দেন। আজ গদির মালিক জাহিদ ও তার শালিকা গদির কাছে আসলে উৎপেতে থাকা কিশোর গ্যাং লিডার কথিত যুবদল কর্মী আসিফ ও রুবেলসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে নারীর তলপেটে গুরুতর আঘাতের ফলে রক্ত বের হতে থাকে।
এসময় নারীর আত্মরক্ষার চেষ্টা করলেও, সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে আক্রমণ করে। তারা তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারার পাশাপাশি তলপেটে একাধিক লাথি মারতে থাকে এবং এক পর্যায়ে ক্রুদ্ধ হয়ে বলেন, তোর কারণেই আমরা বালুর গদি দখল করতে পারছি না।” এই হামলার ফলে নারীটি গুরুতর আহত হন এবং বর্তমানে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট কিশোর গ্যাংয়ের মূল হোতা আসিফ ও রুবেলের নাম প্রকাশিত হয়েছে, যারা স্থানীয় ছাত্রদলের দারুসসালাম থানা সাবেক সভাপতি রাসেলের মিটিং-মিছিলে অংশ গ্রহণ করে বলে জানা গেছে। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, সন্ত্রাসীদের ভয়ে তারা হামলার সময় এগোতে সাহস করেনি।
প্রতিবেশীরা জানান, “এলাকায় বিশ-ত্রিশ জন এসে মহিলাকে মারধর শুরু করে। তারা এলাকার পরিচিত সন্ত্রাসী, তাই আমরা ভয়ে সামনে আসতে পারিনি।” এই ক্ষোভ এবং আতঙ্কের মধ্যেও সাধারণ মানুষ এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে।
ভুক্তভোগী নারীর চিকিৎসার পর দারুসসালাম থানায় অভিযোগ দায়ের করার কথা রয়েছে, যা এই নৃশংস ঘটনার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পথ প্রশস্ত করবে। তবে প্রশ্ন উঠছে, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কি এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিবে?
সমাজের নিরাপত্তা ও মানবাধিকারের এই বিপর্যয়কর পরিস্থিতির বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিবাদ ও ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছে। আমরা সকলে মিলে এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে হবে, যাতে আগামী দিনে সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হয়।