রাজু আহমেদ; প্রকাশিত, ২১ মার্চ ২০২৫
ঢাকা,পল্লবী: শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়ে পল্লবী থানার একটি বাড়িতে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। অভিযোগকারী মোসাঃ রাবেয়া বেগম জানান, তার ২৪ বছর বয়সী মেয়ে ফাতেমা মিনাথ বিথি শয়ন কক্ষে তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, রাবেয়া বেগম তার মেয়ে ফাতেমাকে বাড়িতে তালাবদ্ধ রেখে প্রতিদিন গার্মেন্টেসে কাজ করতে যেতেন। গত ১৮ মার্চ সকাল অনুমান ১১:৩০টার সময়ে অভিযুক্ত খায়রুল ইসলামের স্ত্রীর কাছ থেকে চাবি নিয়ে ঘরে প্রবেশ করেন। সেখানে গিয়ে ফাতেমাকে খাটের উপর ধর্ষণের শিকার হতে দেখেন।
ঘটনা সম্পর্কে মোসাঃ রাবেয়া বেগম বলেন, “আমি প্রতিদিন আমার মেয়েকে বাসায় তালা বন্ধ করে রেখে গার্মেন্টেসে কাজ করতে যাই।
ঘটনাটি পল্লবী থানাধীন, সাং-সেকশন-১২, ব্লক-ই, রোড-০৭, বাড়ী নং-৫৮ নীত তলায় গত ১৮ মার্চ, সকাল অনুমান ১১:৩০টার দিকে ঘটে।
নাজ ভিলা এই বাড়ীর নিচে ধর্ষক খাইরুল (বাঁধন বিন্দু) নামে একটি মুদি দোকানে ব্যবসা করে।
রাবেয়া বেগম আরও জানান, ডিউটি শেষে এসে ফাতেমার কাছ থেকে জানতে পারেন যে, অভিযুক্ত ব্যক্তি তাকে ভয় দেখিয়েছে বলার জন্য। “মেয়ে বলছিল, ‘আংকেল বলেছেন কাউকে কিছু বলবি না।’ এতে আমি খুবই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি,” বলেন তিনি।
বিষয়টি জানাজানি হলে রাবেয়ার পরিবার ও প্রতিবেশীরা থানায় অভিযোগ করতে সহযোগিতা করেন। স্থানীয় সাক্ষী মুকতা আক্তার, সাহিদা আক্তার ও সাজেদা বেগম সহ অন্যান্যরা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
মোসাঃ রাবেয়া বেগম বলেছেন, “আমি ন্যায়বিচার চাই। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিরুদ্ধে জনসমর্থন অত্যন্ত জরুরি।” এই ঘটনায় এলাকায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশিত হয়েছে এবং ন্যায়বিচারের আশায় স্থানীয়রা সক্রিয় রয়েছে।
এ ঘটনায় পল্লবী থানার পুলিশ ইতোমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে এবং অভিযুক্ত মো. খায়রুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে। পুলিশ বাহিনী দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন।