পল্লবীতে ছাদের কার্নিশ ভেংগে নির্মান শ্রমিকের মৃত্যু।
নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ রাজধানীর পল্লবীতে নির্মানাধীন সাড়ে ৬ তলা ভবনের কার্নিশ ভেংগে পড়ে গিয়ে শনিবার বেলা আনুমানিক ১২.৩০ মিনিটের দিকে আলামিন (২৫) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। জানা যায়, মৃত- আলামিনের পিতা- বশির উদ্দিন, গ্রাম কুদালিয়া, থানা, পাকুন্দিয়া, জেলা কিশোর গঞ্জ, তিনি পল্লবী থানাধীন বাসা ০২, রোড ১০, ব্লক সি, সেকশন ১২, উক্ত ঠিকানার সাড়ে ৬ তলা ভবনের কারনিশ ভেংগে নিচে পরে গিয়ে তার মৃত্য হয়, উক্ত ভবনে আলামিন (২৫) লিবার হিসেবে কাজ করছিলেন। পরে খবর পেয়ে পল্লবী থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এ পাঠায়, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত পল্লবী থানায় কোন মামলা হয়নি। এলাকাবাসি বলেন, খুবই নিম্ন মানের ইট বালু যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু সিমেন্ট না দিয়ে তৈরী সারে ৬ তলা ভবন। মানা হয়নি রাজউকের কোন নিয়ম কানুন, নাই কোন নিরাপত্তা বেষ্টনী বা দৃশ্যমান কোন ভবন নির্মাণের তথ্যবলী।
জানা যায়, নিহত শ্রমিক আলামিনের স্ত্রী ও আড়াই বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। ভবনটি নির্মান কাজের দায়ীত্বে ছিল মর্ডান ডেভোলপার। যার অফিস মিরপুর ১২ সি ব্লক ২১ নং রোডে।এবিষয়ে পল্লবী থানার এস আই শরিফ বলেন, লাশ এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছে, লাশের পরিবার মামলা করতে চাইলে মামলা নিওয়া হবে। এলাকাবাসি বলেন, এই মর্ডান ডেভোলপার যে ভাবে বিল্ডিং তৈরি করছে তা যে কোন সময় ভেংগে পড়ে যাবে। নির্মানাধীন সাড়ে ৬ তলা ভবন এখনি বাকা।তারা আরও বলেন, এরা দেশ ও জগনের শত্রু, কোম্পানির ভুলে কোন শ্রমিক মারা গেলে হয় তো তাদের পরিবার কে কিছু আর্থিক সয়হেতা দিয়ে থানা পুলিশ ম্যানেজ করে বিষয়টা ধামাচাপা দিবে! তাতে কি অপরাধ কমে যাবে? না বরং বারবে। এদের কঠিন সাজা হলে ভবিষ্যতে এর থেকে শিক্ষা নিবে আরও সবাই। আলামিনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। আতংকে রয়েছেন আসে পাশের বসবাসরত পরিবার কখন যেন তাদের মাথার উপর ভেঙ্গে পড়ে এই নির্মানাধীন ভবন। পরিবার সুত্রে জানা যায়, আলামিনের লাশ তার গ্রামের বাড়ী কিশোরগঞ্জ নিয়ে দাফন করা হবে।