ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের পিয়ন জাহিদের বিরুদ্ধে চুরি, মাদক ও স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগ:
নিজেস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ (এনেসখেসিয়া বিভাগ) পিয়ন মোঃ জাহিদ হোসেন রুবেলের বিরুদ্ধে একাধিক বিবাহ, মাদক সেবন, স্ত্রী নির্যাতন, মেডিকেলের বিভিন্ন মালামাল চুরি করে বাইরে বিক্রিসহ স্বাস্থ্য ও পরিবার মন্ত্রণালয় গত ০২/০৮/২০২৩ই তারিখে লিখিত অভিযোগ করেছেন হাবিব নামের এক ব্যক্তি।
অভিযোগ পত্রে যা আছে- বর্তমানে পঞ্চম বিবাহ, মদ, ইয়াবা ও গাঁজা আসক্ত এবং ছেলে-মেয়েদের কোনো খোজ-খবর না নেওয়া ও অপারেশন থিয়েটার থেকে প্যাখিডিন, সুতা চুরি করা ইত্যাদির বিচার চেয়ে আবেদন।
পিয়নের একাধিক স্ত্রী তারা হলো কামরুননাহার সম্পা। মীম।, মেহরুননেসা।, লাকী আক্তার ও পঞ্চম স্ত্রী হিসেবে মেহরুননেসাকে আবারো বিয়ে করেছে।
অভিযোগে আরও উল্লেখ, মদ ও গাজা সেবনে আসক্ত হইয়া নিয়মিত প্রত্যেক বউকে মারধর করা এবং ডিভোর্স দেওয়া তাহার নিত্যদিনের পেশায় পরিণত হইয়াছে।
পিয়ন রুবেল যাদের বিবাহ করে তারা সবাই গরীব ঘরের মেয়ে, বিধায় তারা
আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে না এবং তাদের পরিবার দিনে আনে দিনে খায়।
রুবেলের ভাই ঢাকা ন্যাশনাল কলেজ হাসপাতাল এর ডিডি নবী সাহেবের (পিয়ন) নাহিদ হোসেন রবিন সেও তৃতীয় বিবাহ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন করেছে। যাহার প্রথম স্ত্রী- আসমা আক্তার দিতীয় স্ত্রী- সুলতানা বেগম ও তৃতীয় স্ত্রী সাবা আক্তার। এই পরিবার সম্পূর্ণরূপে নারী ক্যালেঙ্খারী, নেশাখোর, সব কিছু অন্যায়ে আক্রান্ত। যাহা কলতা বাজার মহল্লার সবাই জানে।
উল্লেখ থাকে যে, এই রুবেলের পিতা আওলাদ হোসেন বুলবুল নিজেও মদ, গাজা, ইয়াবা ও সুদের ব্যবসায়ীর টাকা দিয়ে কলতা বাজার মহল্লায় ৭তলা ভবন নির্মাণ করেছে। রুবেলের তিন সন্তান তাদের কোনো খোজ খবর নেয়না।
জাকির হোসেন রুবেল বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে ব্যক্তি অভিযোগ করেছে তাকে আমি খুজতেছি কিন্ত পাইতেছিনা। একপ্রশ্নে তিনি বলেন, আমি নেশাপানি করিনা, হাসপাতালে কোনো জিনিসপত্র চুরি করিনা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগে যা লেখা হয়েছে সব মিথ্যা বানোয়াট। একাধিক বিয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, বউ চলে গেলে আমি কি করবো। তাই বাধ্য হয়ে বিয়ে করতে হয়।