নিজস্ব প্রতিবেদক; ১ জানুয়ারী ২০২৫
নতুন বছর মানেই নতুন আশা, নতুন স্বপ্ন। ২৪-এর নানা সংগ্রাম ও প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে আমরা পেরিয়ে এসেছি। এবার ২৫ যেন হয় শান্তি, সম্প্রীতি আর ভালোবাসার বছর।
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ সালে শাহবাগে সংবাদ সংগ্রহের কাজ করছিলেন বাংলা টিভির সাংবাদিক রাজু আহমেদ। তখন একটা লোক তার কাছে এসে খুব নরম সুরে কথা বলতে লাগলো। এক পযার্য়ে ওই মানুষটার জীবনের বাস্তব চিত্র ফুটে ওঠে তার কথাগুলোতে।
সাংবাদিক রাজু আহমেদ ফোনে তার ভয়েস রেকর্ড করেন। রেকর্ড করা ভয়েস যা ছিল, তিনি বলেন, “যাদের ফোন করে খোঁজ নিতে পারিনি, তারা যেন কষ্ট না পুষে। প্রতিদিন পরিবার-পরিজনের চাহিদা মেটাতে সময় কোথায় চলে যায়, বুঝতেই পারি না। মাঝে মাঝে মনে হয়, শৈশবের সেই নির্ভার দিনে ফিরে যেতে পারতাম।”
তিনি আরও জানান, শৈশবে ছিলেন শাসন করার মানুষ—মা আর বাবা। কিন্তু আজ তারা আর নেই। গ্রামে গেলেও আগের সেই শান্তি মেলে না। ভাই-বোন সবাই নিজের সংসারে ব্যস্ত। আর্থিক অনটন আর চাহিদা মেটানোর চাপ তাকে প্রতিনিয়ত হতাশ করে। “যখন দিতে পারি, সবাই ভালোবাসে। না দিতে পারলে অভিযোগের কাঁদায় ডুবে যাই,” বলেন তিনি।
এই মানুষটির গল্প আমাদের সবার জীবনের প্রতিচ্ছবি হতে পারে। জীবনের দায়িত্ব, সম্পর্কের জটিলতা, আর ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তার মাঝে আমরা সবাই কখনো না কখনো পথ হারাই। তবু নতুন বছর আসে, আমাদের নতুন করে বাঁচতে শেখায়।
“২৪ গেছে সংগ্রামে, ২৫ আসুক শান্তিময়ে”—এই প্রত্যাশা তিনি শুধু নিজের জন্য নয়, পুরো দেশবাসীর জন্য করেন। তিনি আরও বলেন, “আমার দুটো কন্যার ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবি। তাদের জন্য আমি রাতদিন পরিশ্রম করি। নিজেও চাই বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যেতে, জীবনটা উপভোগ করতে। কিন্তু দায়িত্ব আর চিন্তা আমাকে পিছু ছাড়ে না।”
নতুন বছরের এই ভাবনাগুলো আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, আমরা সবাই আসলে একে অপরের সাথে জড়িত। ২৫ যেন আমাদের জীবনে শুধু অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নয়, মানসিক শান্তি ও সামাজিক সম্প্রীতি নিয়ে আসে। আসুন, একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল হই, আর ঘুষ-সুদমুক্ত, মানবিক একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলি।
২০২৫ সাল হোক ভালোবাসা, বন্ধুত্ব আর স্বপ্ন পূরণের একটি নতুন অধ্যায়। তিনি কথা গুলো বলে আবার বললেন, আপনি তো সাংবাদিক যদি সম্ভব হয় তবে আমার নাম প্রকাশ না করে নতুন বছরে প্রকাশ কইরেন।