মঙ্গলবার , ৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আওয়ামীলীগ
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. তথ্য-প্রযুক্তি
  8. ধর্ম
  9. বি এন পি
  10. বিনোদন
  11. বিশেষ সংবাদ
  12. রাজধানী
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. শিক্ষা

ছাত্রী নিপীড়নে ছাত্রলীগ নেতা:পুনর্বাসনের নামে ধর্ষকদের স্বর্গ বানাচ্ছে রাজনীতি?

প্রতিবেদক
বাংলাদেশ একাত্তর
এপ্রিল ৮, ২০২৫ ৮:৩১ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক| প্রকাশ: ৮ এপ্রিল ২০২৫

রাজনীতির ছায়ায় অপরাধ ঢাকতে গিয়ে আজ স্কুলের মতো পবিত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও পরিণত হয়েছে অনৈতিকতার আস্তানায়। রাজধানীর পল্লবী থানাধীন বাউনিয়াবাধ আইডিয়াল হাই স্কুলে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সহসভাপতি এবং খণ্ডকালীন শিক্ষক আল আমিন খান জীবনের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবারের দাবি, প্রেমের ফাঁদে ফেলে ছাত্রীটির ওপর দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ও শারীরিক নিপীড়ন চালান আল আমিন। শুধু তাই নয়, এর আগেও তিনি একই এলাকা ও স্কুলে শিক্ষকতার সময়ে সহকর্মী তানিয়া আক্তারকে বিয়ে করে পরের বছর তালাক দেন এবং পরবর্তীতে একই স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইভা রহমানকে বিয়ে করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আল আমিন খান জীবন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে স্কুলে শিক্ষকতা পেয়ে যান। তিনি পল্লবী থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আব্দুর রউফ নান্নুর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।

ক্ষমতার দাপটে নৈতিকতার পতন

অভিযোগ রয়েছে, শুধুমাত্র একজন ছাত্রী নয়, আরও একাধিক ছাত্রীকে ভয়ভীতি ও প্রলোভনের মাধ্যমে অনৈতিক সম্পর্কে বাধ্য করতেন আল আমিন। এসব বিষয়ে একাধিকবার অভিভাবকরা স্কুল কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে জানালেও তারা কার্যত নিরব ভূমিকা পালন করেছে।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক আলী আহমদ বিটু বলেন, “তার মামা বিষয়টি বলেছেন, কিন্তু আমি ব্যস্ত থাকায় দেখা করতে পারিনি। লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এই বক্তব্য থেকেই প্রতীয়মান হয়, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘটনার গুরুত্ব অবহেলা করেছে অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে গেছে।

রাজনীতি কি এখন ধর্ষকদের ঢাল?

এমন এক সময়ে যখন দেশে নারী নির্যাতন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনৈতিকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান উঠে আসছে, তখন একটি রাজনৈতিক দলের ব্যানারে থাকা একজন শিক্ষক কীভাবে বছরের পর বছর ধরে এই ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে পারে—তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সচেতন মহল।

অভিযুক্ত আল আমিন খান জীবনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, “ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বিশ্লেষকদের মত ও জনমত

বিশ্লেষকদের মতে, এটি নিছক কোনো ব্যক্তিগত বিকৃতি নয়, বরং একটি সুপরিকল্পিত চক্রান্ত, যেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছত্রছায়ায় ক্ষমতাধর মহল নিজেদের সুবিধা আদায়ে অপরাধীদের রক্ষা করছে। তারা বলছেন, এসব ঘটনা দেশের শিক্ষাব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা ধ্বংস করছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও রাজনৈতিক নেতারা অবিলম্বে অভিযুক্ত আল আমিনের গ্রেপ্তার, দ্রুত বিচার এবং বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির তদন্ত দাবি করেছেন।

তারা বলেন,
“শিক্ষা হোক মুক্ত, শিক্ষক হোক আদর্শবান—নয় রাজনৈতিক লেবাসধারী লম্পট।”

সর্বশেষ - জাতীয়

আপনার জন্য নির্বাচিত

আগামী সপ্তাহে নতুন সরকারের শপথ গ্রহণের সম্ভাবনা

রাজশাহীতে নদী ভাঙন এলাকাবাসীর পাশে বেলাল উদ্দিন সোহেল

ডিবির অভিযানে আওয়ামী সন্ত্রাসী- হানিফ গ্রেফতার

কদমতলীতে নারী-পুরুষ মাদকসহ আটক

গোপালগঞ্জ পৌরসভায় জন্ম নিবন্ধনে চরম দুর্নীতি, সাধারণ মানুষের সীমাহীন ভোগান্তি

“নির্বাচনের আগে জুলাই সনদ চাই: ছাত্রজনতার নেতা হাসানাতের হুঁশিয়ারি

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ২৬০০ বাস্তহারা পরিবারের পুর্নবাসন প্রকল্পের দলিল হস্তান্তর

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রহরীদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবি

বৃদ্ধকে ঘুষি দিলো মেয়র কাদের মির্জা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাছে আহ্বান দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিন; আমিনুল হক