অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি। সাইয়েমা হাসান।
যশোর প্রতিনিধিঃ যশোরের মনিরামপুর উপজেলার সহকারী ভূমি কমিশনার সাইয়েমা হাসান যিনি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে জারি করা অবরোধ পরিস্থিতি তদারকি করতে গিয়ে কয়েকজন প্রবীণ ব্যক্তিকে কানে ধরে শাস্তি দেন এবং সেই ছবি নিজের মোবাইল ফোনে ধারন করে এক সমালোচনার সৃষ্টি করেছেন, এর জেরে আজ তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এসিল্যান্ড সাইয়েমা হাসান ছবি তোলার সময় দেখা যায় সেই সময়ে তার হাতে কোনো প্রটেকশন হ্যান্ড গ্লাভস দেখা যায়নি” এসিল্যান্ড নিজেই যেখানে করোনাভাইরাস প্রটেকশন না নিয়ে বাইরে তদারকি করে এই বিষয়টি নিয়ে ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুক দুনিয়ায় তার এই দায়ীত্বহীন কৃতকর্মের বিচার চেয়ে অসংখ্য দাবী জানাচ্ছেন।
এ বিষয়ে যশোর মনিরামপুরের ঘটনার প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সাইয়েমা হাসান বলেছেন, আমি স্বীকার করছি আমার কাজটা করা ঠিক হয়নি, আমি মন থেকে এর জন্য অনুতপ্ত। আমি অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
তিনি বলেন, শুক্রবার বিকেলে বাজার মনিটরিং ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণের জন্য অভিযানে বের হই। এসময় চেষ্টা করি বাজারে মানুষ জনের জমায়েত দূর করার এবং তাদের বিশেষ কাজ ছাড়া বাজারে ভিড় করতে নিষেধ করি। যারা মাস্ক পড়েনি তাদের জিজ্ঞেস করছিলাম মাস্ক কেন পড়েনি? এই সময়ে উক্ত ছবির আলোচিত ব্যক্তিরাও ওখানে ছিল।
সাইয়েমা বলেন, সে মাস্ক কেন পরেনি জিজ্ঞাসা করতেই তারা নিজেরাই ভয়ে কান ধরেছে, কাল থেকে মাস্ক ছাড়া বের হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এই সময় আমি ছবি তুলতে তুলতে বললাম যে আমি গতকালও এখানে এসে অনেককে বলেছি, কিন্তু আজও এরকম দেখছি। এই যে আপনাদের আজ ছবি তুলে রাখছি, আবার দেখলে কিন্তু শাস্তি দেব।
তিনি আরও বলেন, এই ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুক গনমাধ্যমে যেভাবে এসেছে, এই ধরনের কোন ইচ্ছা আমার ছিল না। ওই মুহূর্তে আমি ঠিক এর তীব্রতা বুঝতে না পারলেও পরবর্তীতে আমার ভুল বুঝতে পারি। আমি স্বীকার করছি আমার কাজটা করা ঠিক হয়নি, আমি মন থেকে এর জন্য অনুতপ্ত। আমি অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি এমন কাজ অনিচ্ছাবসত হয়েছে।